(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Ayodhya : অযোধ্যা রামমন্দির চত্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু কনস্টেবলের !
Ayodhya Ram Mandir : ২৫ বছরের ওই যুবক আম্বেদকরনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের কনস্টেবল ছিলেন।
লখনৌ : অযোধ্যা রামমন্দির চত্বরে কতর্ব্যরত কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু । ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। আজ, বুধবার নিজের বন্দুক থেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, দুর্ঘটনাবশত এই ঘটনা হয়ে থাকতে পারে বা আত্মহত্যার জেরে হতে পারে।
এদিন সকাল ৫টা ২৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম শত্রুঘ্ন বিশ্বকর্মা। ২৫ বছরের ওই যুবক আম্বেদকরনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের কনস্টেবল ছিলেন। সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেন্সিকের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে।
প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, নিজের ইনসাস রাইফেলের বুলেটের আঘাত লাগে শত্রুঘ্ন বিশ্বকর্মার। সম্ভবত, দুর্ঘটনাবশত গুলি চলে গেছে। তবে, অন্যদিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর মোবাইল ফোনটি ফরেন্সিকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এদিকে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মন্দির চত্বরে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে মন্দির চত্বরে পৌঁছন আইজি ও এসএসপি । তাঁরা তদন্ত করেন। এর পাশাপাশি ফরেন্সিক টিমকে ডেকে পাঠানো হয়।
শত্রুঘ্নর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটার আগে নিজের মোবাইল ফোন দেখছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পৌঁছনো হয় তাঁর পরিবারের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে।
২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে যোগ দেন শত্রুঘ্ন বিশ্বকর্মা। আম্বেদকরনগরের সম্মানপুর থানা এাকার কাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। উত্তরপ্রদেশ SSP-র কর্মী হিসাবে মন্দিরের সুরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধান যজমান হয়েছিলেন। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আমন্ত্রিতরা এসে পৌঁছেছিলেন রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। যা ঘিরে কার্যত উৎসবের মেজাজে পৌঁছে যায় গোটা দেশ। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উদ্বোধন ঘিরে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমান সরযূর তীরে। অনেকেই পুণ্যস্নান করে দিন শুরু করেন। রাত থাকতেই শুরু হয়ে যায় রামনবমীর স্নান। সারা অযোধ্যা মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তায়। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে বহু আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়। দর্শনের সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয় অনেকটা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।