World News: ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশি পড়ুয়াদের উদ্ধার ও টিকাকরণে সাহায্য, মোদীর প্রশংসায় শেখ হাসিনা
Bangladesh PM Praises Modi: সোমবারে ভারত-সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অকুণ্ঠ প্রশস্তি শোনা গেল তাঁর মুখে।
ঢাকা: সোমবার ভারত-সফরে (India Tour) আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী (PM) শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। তার আগে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Indian PM) নরেন্দ্র মোদীর (narendra modi) অকুণ্ঠ প্রশস্তি (Appreciation) শোনা গেল তাঁর মুখে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পূর্ব ইউরোপে আটকে থাকা বাংলাদেশি পড়ুয়াদের উদ্ধার থেকে শুরু করে পড়শি দেশগুলির জন্য তাঁর 'ভ্যাকসিন-মৈত্রী' উদ্যোগ, সব কিছুকেই সাধুবাদ জানালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
কী বললেন হাসিনা?
দুদেশের মধ্য়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন হাসিনা। সঙ্গে সংযোজন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কোনও বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়া দরকার। অতীতে দু'দেশ যে ঠিক এই পথেই হেঁটেছে, সে কথাও মনে করান তিনি। তবে মোদী-সরকার যে দুটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের পাশে বিশেষ ভাবে দাঁড়িয়েছে, সে দুটির কথাও উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গেই আসে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় পূর্ব ইউরোপে আটকে পড়া বাংলাদেশি পড়ুয়াদের কথা। বলেন, 'আমাদের বহু পড়ুয়া সে সময় আটকে পড়ে পোল্যান্ডে পৌঁছে যান। আপনারা যখন আপনাদের ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারে গিয়েছিলেন, তখন আমাদের ছাত্রছাত্রীদেরও ফিরিয়ে আনেন। সেটি সত্যি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই প্রমাণ ছিল।' এতেই শেষ নয়। করোনার টিকা নিয়ে যে উদ্যোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন তারও প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এর জন্য অকুণ্ঠ ধন্য়বাদ। শুধু বাংলাদেশ নয়, যে ভাবে গোটা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে আপনারা টিকা পাঠিয়েছেন তাতে ভীষণ সাহায্য হয়েছে।' ভারতকে পুরনো বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর কথায় উঠে আসে একাত্তরের যুদ্ধের প্রসঙ্গও। বলেন, '১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের ভূূমিকা আমরা সব সময় মনে রেখেছি। তার পর, ১৯৭৫ সালে যখন আমি আমার পরিবারের সকলকে হারিয়ে ফেলি, তখনও কী হয়েছিল মনে রয়েছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।' কোভিড-অতিমারীর সময়ে ভারত যে ভূমিকায় এগিয়ে এসেছিল, তার অকুণ্ঠ প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের কথাও ছুঁয়ে যান হাসিনা।
'ভরসা করে না বাংলাদেশ '
এএনআইয়ের ওই সাংবাদিকের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন সীমান্ত দিয়ে গরুপাচারের প্রসঙ্গও উঠে আসে। গরুপাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, গরুর জন্য ভারতের উপর বাংলাদেশ নির্ভরশীল নয়। তিনি বলেন, 'গরুপাচার রোধে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, আরেকটু ধৈর্য ধরতে হবে। তবে ভারতীয় গরুর উপর বাংলাদেশ খুব বেশি ভরসা করে না। সীমান্তে গরুপাচার অনেক কমেছে, তবু কিছু ঘটনা এখনও ঘটছে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়মিত কথা চলছে। গরুপাচার বন্ধ হওয়া উচিত। '
আরও পড়ুন:হালিশহরের পর কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পৈতৃক বাড়িতে সিবিআই