একুশে টার্গেট ৫০% ভোট, বঙ্গ-বিজেপিকে দাওয়াই নাড্ডার, পাল্টা ব্লক কমিটি সাজাচ্ছে তৃণমূল
একদিকে বিজেপি যখন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তখন তৃণমূলও সাংগঠনিক রদবদলের মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে.....
কলকাতা: একুশের নির্বাচনে রাজ্যে দলের প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন বিজেপির জগত্প্রকাশ নাড্ডা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শুধু বাংলার মসনদ দখল নয়, কত ভোট পেতে হবে, রাজ্য নেতৃত্বের সামনে সেই টার্গেটও বেধে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি!
বিজেপির নবগঠিত রাজ্য কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন নাড্ডা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দলের বিধায়ক, সাংসদ, পদাধিকারীদের জেলায় জেলায় পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। তাঁদের কয়েকটি করে মণ্ডলের দায়িত্ব দিতে বলেন।
পাশাপাশি, প্রতিটি বুথে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে প্রচারে নামার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মোদি সরকারের সাফল্য, মমতা সরকারের ব্যর্থতার পাশাপাশি স্থানীয় সমস্যাও তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
একদিকে বিজেপি যখন একুশের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তখন তৃণমূলও সাংগঠনিক রদবদলের মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
শাসক শিবির সূত্রের খবর, এই মাসের মধ্যেই তৃণমূলের রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লক কমিটিকে ঢেলে সাজানো হবে। ব্লকস্তরে তৃণমূলের কমিটিতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নতুন মুখ ঢোকানো হবে। নতুন-পুরনো মেলবন্ধনে তৈরি করা হবে কমিটি। গুরুত্ব দেওয়া হবে দলের পুরনো দিনের কর্মীদের!
পাশাপাশি, নাড্ডার মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যে লাস্ট হয়, সেও বলে পাস করতে হবে। আগে পাস তো করুক।
দুই বিরোধীদের দিকেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দলের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ভোটের আর ৯ মাস বাকি, তার আগে বিজেপি এখন নেতাদের যেতে বলছে ব্লকস্তরে, ওদের কী অবস্থা সে তো বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল, ওরা এখন পাতকুড়ানির দল, সব দল থেকে যা পায় সব কুড়িয়ে নিয়ে দল চালায়।