Cyber Crime: বাগদায় ভুয়ো কোম্পানি খুলে ১০ কোটি টাকা প্রতারণা, পুলিশের জালে ব্যাঙ্ক ম্য়ানেজার সহ ৭
North 24 Pargana News: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৮ তারিখে বাগদা থানার পুলিশ সিন্দ্রানি এলাকায় হানা দিয়ে সাইবার প্রতারণার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করে।
বাগদা: ভুয়ো কোম্পানি (Fake Company) বানিয়ে সেই কোম্পানির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে অনলাইন গেমিং, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, স্টক মার্কেট সহ একাধিক ভাবে সাইবার প্রতারণার (Cyber Fraud) মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে এক ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা (Bagdah) থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ টি কোম্পানি খুলে সেই কোম্পানির নামে প্রায় ১০ কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৮ তারিখে বাগদা থানার পুলিশ সিন্দ্রানি এলাকায় হানা দিয়ে সাইবার প্রতারণার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশি হেফাজত নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে অরিন্দম বিশ্বাস নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক কমার্শিয়াল রিলেশনশিপ ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক জমির নথি, একাধিক ব্যাঙ্কের পাসবই, ১১৬ টি এটিএম কার্ড, দামি গাড়ি, ৯০ টা সরকারি বেসরকারি সংস্থার স্টাম্প সহ প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। যারা বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে ২৩ টি কোম্পানি খুলেছিলে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অরিন্দমের সাহায্য নিয়ে ওই কোম্পানির নামে ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রায় ১০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্ট গুলির নামে ২০৪ টি সাইবার প্রতারণার মামলা রয়েছে। বাগদার সিন্দ্রানি এলাকা থেকে এই প্রতারণা চক্র চলত বলে জানা গিয়েছে। ৩ বছর আগে এই প্রতারণা শুরু হয়েছিল। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে এই প্রতারণা চক্র কতদূর পর্যন্ত রয়েছে। আর কারাই বা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। লোন অ্যাপ ছাড়াও বিভিন্নভাবে এই অপরাধের মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। বর্তমানে অনেক তরুণ বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। যেকোনও অ্যাপ ডাউনলোড করার পর অনেক অনুমতি চাওয়া হয়। আমরা নিয়মিতভাবে সেই অনুমতিগুলি দিয়ে দিই। এই তথ্য়গুলি প্র্যাঙ্কস্টাররা ব্যবহার করে। যারা বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধ করতে চায়, তারাই এই কাজ করে।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে ভোট, পাশের ভাটপাড়ায় থানার কাছে সাতসকালে তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুন