India Weather News: জলমগ্ন প্রয়াগরাজ ও পটনা, ফের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস বিহার-সহ উত্তর ভারতের একাংশে
Heavy Rainfall Forecast: ভারী বৃষ্টির হাত থেকে এখনই নিস্তার পাচ্ছে না উত্তর ভারতের বড় অংশ। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বিহার এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর।
নয়াদিল্লি: ভারী বৃষ্টির (heavy rainfall) হাত থেকে এখনই নিস্তার পাচ্ছে না উত্তর ভারতের (north india) বড় অংশ। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বিহার (bihar) এবং উত্তরাখণ্ডে (uttarakhand) ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস (forecast) দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর (IMD)। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেও আগামী চার দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছেন। রবিবার ও সোমবার ভারী বর্ষণ হতে পারে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশেও।
কী বলছে বর্ষার মতিগতি?
মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থান এই মুহূর্তে যেখানে, তা দেখে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী দুদিন নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার বেশ কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বর্ষণ এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ, অসম এবং মেঘালয়ের ক্ষেত্রে আগামী চার দিন ঝড়বৃষ্টির এই পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন আবহবিদরা। অন্য দিকে, বিহার এবং উত্তরপূর্ব উত্তরপ্রদেশে আগামী দুদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিহারের কিছু জায়গায় অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে, জানিয়ে রেখেছে মৌসম ভবন। বৃষ্টির জেরে এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অংশ বানভাসি। প্রয়াগরাজে নৌকো নামতে দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে, পটনা শহরের কিছু এলাকাও জলমগ্ন। এর উপর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে, বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা।
বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণ ভারতেও...
শুধু উত্তর ও পূর্ব ভারত নয়, দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অংশেও ধারাপাত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। কর্নাটকের উত্তর অংশ, অন্ধ্র উপকূল, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কেরল এবং দক্ষিণ কর্নাটকের ভিতরের কিছু অংশে আগামী কয়েক দিন হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস থাকছে। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। সার্বিক ভাবে গোটা দেশেই প্রায় চিন্তা বাড়াচ্ছে বর্ষা। উল্লেখ্য, তুমুল বর্ষণে এর মধ্য়েই পড়শি পাকিস্তানের বড় অংশ বন্যায় বিপর্যস্ত। গত কালের হিসেব অনুযায়ী, সে দেশের ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে। শেষ এক দশকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী হয়নি পাকিস্তান। বন্যাবিধ্বস্ত দেশের ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে সেনার সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান সরকার। শনিবার পর্যন্ত এই ভয়াবহ বন্যার বলি ৯৮২ জন। সিন্ধ ও বালোচিস্তান প্রদেশের হাল সবচেয়ে খারাপ। এই দুই প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় রেল-পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান সরকার।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে কড়া বার্তা ভারতের