বিনয় তামাঙের জেলা অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় গুরুংপন্থীরা
সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে ফিরে এসেছেন বিমল গুরুং-রোশন গিরি। এরপর থেকেই উত্তপ্ত পাহাড়ের রাজনীতি। একে অপরের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত গুরুংপন্থী ও বিনয়পন্থীরা।
কালিম্পঙ: এবার কালিম্পঙে বিনয় তামাঙের জেলা অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল গুরুংপন্থীদের বিরুদ্ধে। আজই বিমল গুরুঙের সভা কালিম্পঙে। আর এদিনই তামাংদের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তামাংপন্থীরা। যদিও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুরুংপন্থীরা।
আজ, বৃহস্পতিবার বিমল গুরুঙের সভার আগে উত্তপ্ত কালিম্পঙের ডম্বরচক। আর সেই সভার প্রাক্কালে বিনয় তামাঙের জেলা অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। তামাংপন্থীদের অভিযোগ, বুধবার রাতে তাদের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ভেঙে ফেলা হয় আসবাবপত্র, ছেঁড়া হয় ফ্লেক্স-পতাকা। অভিযোগের তির গুরুংপন্থীদের বিরুদ্ধে। তামাংপন্থীদের অভিযোগ, গুরুংপন্থীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তামাংপন্থী নেতা অমির ছেত্রীর সাফ কথা এই ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত গুরুংপন্থীরাই। তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।
সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে ফিরে এসেছেন বিমল গুরুং-রোশন গিরি। এরপর থেকেই উত্তপ্ত পাহাড়ের রাজনীতি। একে অপরের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত গুরুংপন্থী ও বিনয়পন্থীরা। এই অবস্থায় তামাঙের অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এদিন সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় কালিম্পঙের ডম্বরচকে। বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
যদিও তামাংপন্থীদের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন গুরুংপন্থীরা। গুরংপন্থী নেতা শুভ প্রধান তামাংপন্থীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ দায়েক করা হয়েছে। কালিম্পং থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এনডিএ-র সঙ্গে ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মুখ খুলেছেন বিমল গুরুং। সাড়ে তিন বছর অজ্ঞাতবাসে থাকার পর ফিরেছেন পাহাড়ে। তারপর থেকেই গুরুংপন্থীদের সঙ্গে তামাংপন্থীদের বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে।