Odisha News: ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে সাপের ছোবলে মৃত্যু মায়ের
সাপের ছোবলের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে সাপের কামড় খান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ওই মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ভুবনেশ্বর: শুক্রবার ওড়িশার জয়পুর জেলায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ছেলেকে সাপের ছোবলের হাত থেকে বাঁচিয়ে মা নিজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রিয়দর্শিনী রাউত নামে ওই মহিলা ওড়িশার জয়পুর জেলার দেউলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। এদিন দুপুরে তিনি তাঁর ছেলেকে বিষাক্ত সাপের ছোবলের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে সাপের কামড় খান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ওই মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ প্রিয়দর্শিনী রাউত নামে এক মহিলা তাঁর আড়াই বছরের ছেলেকে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন। সেই সময়ই তিনি খেয়াল করেন যে, একটা বিষধর কেউটে সাপ তাঁর ছেলেকে কামড়ানোর চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাপটিকে হাত দিয়ে ধরে ফেলেন। তৎক্ষণাৎ সাপটি প্রিয়দর্শিনী রাউতের ডান হাতে ছোবল মারে। সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে জয়পুরের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর স্থানীয়রা সাপুরেকে ডাকে। বিষধর ওই কেউটে সাপটিকে এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান সাপুরেরা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। এই প্রসঙ্গে ইনস্পেক্টর ইনচার্জ মানস রঞ্জন চক্র জানিয়েছেন যে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রেজিস্টার হয়েছে প্রিয়দর্শিনী রাউত নামে ওই মহিলার মৃত্যুর ঘটনায়। ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার পরিবার পরিজনের হাতে মৃত মহিলার দেহ তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সামনেই রথ যাত্রা উপলক্ষে পুরীতে করোনা আবহে জারি থাকছে অনেক বিধি নিষেধ। জানা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে গতবারের মতো এবারও পুরীর রথ যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন শুধুমাত্র সেবায়েত এবং পূজারিরা। তবে, তাঁদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে, তবেই তাঁরা রথ টানতে পারবেন। পুরী জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসক অজয় জেনা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট এবং ওড়িশা সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এবারও ভক্তহীন থাকছে পুরীর রথযাত্রা।