(Source: Poll of Polls)
আরএসএসের কর্মসূচি মামলা: কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সমালোচনায় হাইকোর্ট
কলকাতা: আরএসএসের কর্মসূচি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। গত ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। আদালত অবমাননার রুল অনুযায়ী, শুক্রবার হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁর উদ্দেশে করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, যখন আরএসএসের সভার অনুমতি খারিজ করেন যুগ্ম কমিশনার, তখন তাঁর নির্দেশনামায় কোথাও লেখা ছিল না যে, এবিষয়ে কমিশনার অবগত রয়েছেন বা সিপির ব্যস্ততার কারণে, তাঁকে জানিয়েই এই কাজ করেছেন যুগ্ম কমিশনার। একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের কাছ থেকে এইটুকু সৌজন্যবোধ আদালত আশা করতেই পারে। বিচারপতির প্রশ্ন, উচ্চপদস্থরাই যদি আদালতের নির্দেশকে মান্যতা না দেন, আদালতের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা না করেন, তাহলে নিচুতলার পুলিশকর্মীরা আদালতের মর্যাদা দেবেন কীভাবে? অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, সে সময় পুলিশ কমিশনার অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে অবগত থাকলেও নিজে নির্দেশনামা লিখতে পারেননি। কয়েকদিন আগে আরএসএসের কর্মসূচি ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। প্রথমে খিদিরপুরের ভূকৈলাস ময়দান, তারপর ব্রিগেড, দুই জায়গাতেই আরএসএসের কর্মসূচির অনুমতি দিতে অস্বীকার করে পুলিশ। যার জেরে হাইকোর্টে যায় আরএসএস। সেই মতো, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও কমিশনারের বদলে জয়েন্ট কমিশনার আরএসএসের আবেদন খারিজ করে দেন। কিন্তু, কমিশনারের বদলে কেন জয়েন্ট কমিশনার আবেদন খারিজ করলেন? এই প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। পুলিশ কমিশনারকে শোকজও করা হয়। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন সমালোচিত হলেন সিপি। হাইকোর্টের নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ কমিশনারের এই ধরনের আচরণের কারণ ব্যাখ্যা করে হলফনামা জমা দিতে হবে। হলফনামা জমা দেওয়ার পর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করবে আদালত। অন্যদিকে, শবং-এর বলপাই পঞ্চায়েত এলাকায় বেআইনিভাবে গাছ কাটার একটি মামলায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানানোর জন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ ও শবং থানার ওসিকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।