‘চিকিৎসক, নার্সদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা, একমাসের রেশন বিলি, প্রয়োজনে দু’মাসের পেনশন’, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রের কাছে ১৫০০ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় মঙ্গলবার রাজ্যে সর্বত্র লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেদিনই রাত ৮টায় নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে টানা ৩ সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেন। সারা দেশে টানা ২১ দিন লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে আজ সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে কেন্দ্রের কাছে ১৫০০ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বাংলা নয়, সব রাজ্যকেই যেন আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়, সেবিষয়েও আবেদন করেন তিনি। একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় একাধিক বিষয়ের কথা জানিয়েছেন তিনি। কী কী বিষয়? জেনে নিন:
‘হোম ডেলিভারি আটকাবেন না’, পুলিশকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
‘প্রয়োজনে পাস ইস্যু করা হবে, গোটা রাজ্যে একই পাসে কাজ হবে’
‘স্টেট কন্ট্রোল রুম নম্বর ১০৭০’
‘রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২২১৪ ৩৫২৬’
‘সব্জি বিক্রিতে বাধা দেওয়া চলবে না’
‘সব্জিওয়ালা সব্জি নিয়ে আসার সময় বাধা নয়’
‘কৃষকদের মাঠে কাজ করার সময় বাধা নয়’
‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আটকালে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধেই মামলা’
‘কারও জ্বর হলে সামাজিকভাবে বয়কট নয়’
‘কেউ খাবার না পেলে বিডিও, আইসি-কে জানান’
দেখুন: লকডাউন অমান্য করে সল্টলেকের রাস্তায়, আটকানোয় পুলিশকে কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা তরুণীর
‘ভবঘুরেদের জন্য নাইট শেল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে’
‘ভবঘুরেরা নাইট শেল্টারে থাকুন, প্রয়োজনীয় খাবার মিলবে’
‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেন আটকান না হয়’
‘খাদ্য দফতরের কর্মীদের বিশেষ পাস দেওয়া হবে’
‘প্রয়োজনে মানুষকে এক মাসের রেশন দিয়ে দিন’
‘সামাজিক পেনশন একবারে দু’মাসের দিয়ে দিন’
‘মার্চ-এপ্রিল অথবা এপ্রিল-মে মাসের সামাজিক পেনশন একসঙ্গে দিয়ে দিন’
‘স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর’
‘চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য হোটেল-লজের ব্যবস্থা’
‘হোটেল-লজেই মিলবে খাবার, ব্যবস্থা করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ’
‘রাজ্যের কন্ট্রোল রুমে তিন শিফটে কাজ’
‘২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে রাজ্যের কন্ট্রোল রুম’
‘কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কোনও সাহায্য পাইনি’
‘করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিচ্ছে রাজ্যই’
‘রাজ্যের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য, বন্ধ ব্যবসা-দোকান’
‘করোনা মোকাবিলায় রাজ্য ২০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে’
‘প্রবাসীরা যদি সাহায্য করতে চান, করতে পারেন’
‘রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা ফান্ডে সাহায্য করতে ৯০৫১০ ২২০০০ নম্বরে ফোন করুন’
‘স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড - অ্যাকাউন্ট নম্বর ৬২৮০০৫৫০১৩৩৯’
‘স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড: আইএফসি কোড: আইসিআইসি ০০০৬২৮০’
‘ওয়েবসাইট www.wb.gov.in’
‘পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হবে’
‘কেন্দ্র জাতীয় বিপর্যয় আইন করেছে রাজ্যকে না জানিয়ে ’
‘মানবে রাজ্য, কিন্তু রাজ্যের হাতেও কিছু শিথিল করার ক্ষমতা আছে’
‘কোয়ারেন্টিন সেন্টারে অস্পৃশ্য নয়, যাঁরা আছেন তাঁদের কোনও অসুবিধা হবে না’
‘রেশন দোকানে একমাসের খাদ্যদ্রব্য দেওয়া আছে’
পড়ুন: জনতা কার্ফুর দিন কলকাতার বাতাস ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার, করোনা-লকডাউনে কমল দেশের বায়ুদূষণ
‘খাদ্যদ্রব্য পাবেন, অযথা আতঙ্কিত হবেন না, খাবার মজুত করবেন না’
‘প্রবীণ নাগরিক থাকলে, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিক হাউজিং কর্তৃপক্ষ’
‘মুদির দোকান, ওষুধের দোকান নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস নিজেরাই নিয়ে আসবে’
‘কেন্দ্র সব রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দিক’
‘কেন্দ্র বাংলাকে ১৫০০ কোটির আর্থিক প্যাকেজ দিক’