নারদ মামলা:যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তা তদন্তের দাবি রাখে, কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা: নারদ মামলায় আদালতে যা তথ্যপ্রমাণ আছে, তা তদন্তের দাবি রাখে। মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের। হাইকোর্টের মন্তব্যে নারদ-মামলায় সিবিআই তদন্তের সম্ভাবনা নিয়ে আইনজীবীদের একাংশে জল্পনা।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র বলেন, এটা আদালতগ্রাহ্য অপরাধ বলে মনে হয় না। ফুটেজে কোথাও টাকা চাওয়া হয়েছে বলে দেখা যায়নি। পাল্টা তহেলকাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে মামলাতেও টাকা চাওয়া হয়নি। তাও সেটা ঘুষ সংক্রান্ত মামলা। প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে আরও বলেন, আদালতের হাতে থাকা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অনুসন্ধান বা তদন্ত হতেই পারে।
এখন প্রশ্ন, তদন্ত কে করবে? যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে রাজ্য পুলিশ সঠিক সংস্থা নয়। সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এ রাজ্য বা অন্যান্য রাজ্যেও এ ধরনের অভিযোগ উঠলে, সাধারণত শাসকের হয়ে কাজ করে পুলিশ। আদালতের এই মন্তব্যে নারদ-মামলায় সিবিআই তদন্তের সম্ভাবনা নিয়ে আইনজীবী মহলে জোর জল্পনা।
এদিনের শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করে বলেন, টাকা নেওয়ার ফুটেজ জনমানসে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে হয় না। যাঁদের এই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাঁরা সবাই মানুষের রায় নিয়ে ফেরত এসেছেন। অথচ এমন দু’জন হেরে গিয়েছেন, যাঁদের ফুটেজে দেখা যায়নি। এরপর অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। একটি রাজনৈতিক দল এই ফুটেজ সামনে এনেছিল। এটা তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্মানহানির চক্রান্ত। হতেও পারে এটা ঘুষ নয়, অনুদান মাত্র।
পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, অনুদান হলেও তা নেওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে।বৃহস্পতিবার, নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি।