Joshimath Situation:আতঙ্কের প্রহর গুনছে জোশীমঠ, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধামি! কী পরিস্থিতি এখন?
CM Pushkar Singh Dhami:আতঙ্কের প্রহর গুনছে জোশীমঠ। প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন জায়গায় ফাটল ধরছে। এর মধ্যেই জোশীমঠে মাউন্ট ভিউ ও মালারি ইন, এই দুটি হোটেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বিজেন্দ্র সিংহ, জোশীমঠ (উত্তরাখণ্ড): আতঙ্কের প্রহর গুনছে জোশীমঠ (joshimath)। প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন জায়গায় ফাটল (crack) ধরছে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে আরও চওড়া হচ্ছে ফাটল। এর মধ্যেই জোশীমঠে মাউন্ট ভিউ ও মালারি ইন, এই দুটি হোটেল ভেঙে (demolish) ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন (administration)। কিন্তু হোটেল ভাঙার আগে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন মালারি ইনের মালিক। প্রবল ঠান্ডায় হোটেলের সামনেই সস্ত্রীক ধর্নায় বসেছেন। ঠিক কী ছবি জোশীমঠের?
কী চলছে?
এদিন জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। তার আগে অবশ্য তিনি বলেছিলেন, 'দুর্গত মানুষগুলির পাশেই রয়েছে আমাদের সরকার।' যদিও হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে টানা পাকাপাকি সমাধানের আর্জি জানিয়ে চলেছেন জোশীমঠের গৃহহীন বাসিন্দারা। বুধবার জোশীমঠ তেহসিল জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। কণ্ঠে দুর্দশার গান। সঙ্গে বদ্রীনাথের কাছে আর্জি, তিনি যেন তাঁদের ভিটেছাড়া না করেন। কিন্তু সেই আশা আদৌ কি পূরণ হবে? কোথা থেকে এমন হল বুঝতে, হায়দরাবাদে CSIR-National Geophysical Research Institute থেকে বিজ্ঞানীদের একটি দল এদিনই রওনা দেবে উত্তরাখণ্ডে। আগামী ১৩ জানুয়ারি তাঁদের পৌঁছনোর কথা। পর দিন থেকে কাজ শুরু হবে। তবে চামোলির জেলাশাসক জানিয়েছেন, এর মধ্যেই ১১ সদস্যের একটি কমিটি অন্তর্বর্তী ত্রাণ বিলির কাজে নামানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কালই বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে এসেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। দেখা করেন স্থানীয়দের সঙ্গে। ফাটলের ব্যাপকতা কতটা, সেটিও খতিয়ে দেখেন। বসে যেতে থাকা জোশীমঠের কথা মাথায় রেখে যে বিল্ডিংগুলির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, সেগুলির মার্কেট রেট অনুযায়ী দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। অন্তর্বর্তী সহায়তার জন্য বিপর্যস্ত পরিবারগুলিকে দেড় লক্ষ টাকা ক্ষচিপূরণের ঘোষণা এর মধ্যেই করেছে ধামি প্রশাসন।
প্রেক্ষাপট...
মাটি আলগা হতে শুরু করেছিল ৩ বছর আগে। প্রতি বছর আড়াই ইঞ্চি করে বসে যাচ্ছে জোশীমঠ। সম্প্রতি সামনে এসেছে দেরাদুনের একটি সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং-এর সমীক্ষা রিপোর্ট। তাতেই জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চ থেকেই জোশীমঠ ও তার আশেপাশের এলাকায় ফাটল ধরতে শুরু করেছিল। হিমালয়ের কোলে এই ছোট্ট জনপদে এখন বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭২৩। গতকাল দুটি হোটেল ভাঙার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভে আটকে যায় ভাঙার কাজ। আজ, মাউন্ট ভিউ ও মালারি ইন, এই দুটি হোটেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু হোটেল ভাঙার আগে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন মালারি ইনের মালিক। কী হবে এর পর? তাকিয়ে জোশীমঠ, তাকিয়ে গোটা দেশ।
আরও পড়ুন:কলকাতায় আচমকা অসুস্থ দ্রাবিড়, রাতে টিমহোটেলেই পাঠানো হয় জরুরি ওষুধ