Kanpur: নৃশংস! নামতা বলতে না পারায় ছাত্রের হাতে ড্রিলিং মেশিন চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
Kanpur Update: সহপাঠীর তৎপরতায় রক্ষা পায় ওই ছাত্র। দ্রুত ড্রিলিং মেশিনের প্লাগ খুলে ফেলায় রক্ষা পায় সে। সামান্য চিকিৎসার পরই ওই ছাত্রকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কানপুর: নামতা (table) বলতে পারেনি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র (class five student)। দোষ বলতে এটুকুই। কিন্তু তার জন্য যে এমন শাস্তি পেতে হবে কল্পনাও করতে পারেনি ছেলেটি। দোষের শাস্তি (punishment) হিসেবে ছাত্রের হাতে ড্রিলিং মেশিন (Drilling Machine) চালালেন শিক্ষক।
নামতা বলতে না পারায় নৃশংস শাস্তি শিক্ষকের
নামতা বলতে না পারার শাস্তি হিসেবে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের হাতে ড্রিলিং মেশিন চালালেন শিক্ষক। কানপুরের একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। সহপাঠীর তৎপরতায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ছাত্রটি। হাতে চোট পেলেও বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।
সহপাঠীর তৎপরতায় রক্ষা পায় ওই ছাত্র। দ্রুত ড্রিলিং মেশিনের প্লাগ খুলে ফেলায় রক্ষা পায় সে। সামান্য চিকিৎসার পরই ওই ছাত্রকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বুনিয়াদি শিক্ষা আধিকারিক।
মাসখানেক আগে এক ছাত্রকে শাস্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটে কলকাতাতেও। হোমওয়ার্ক করেনি, সেই কারণে লাঠি দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। ছাত্রের বাড়িতে এসে দুঃখপ্রকাশ করেন শিক্ষিকা। স্কুলের তরফে জানানো হয় যে ওই শিক্ষিকাকে সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: Ashoknagar News: মেসের ঘরে খুন ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া, কোথায় নিহত পড়ুয়ার রুমমেট ?
শাসনের নামে পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে শহরের অভিভাবকমহল। পরিবারের অভিযোগ, পরিস্থিতি এমনই হয় যে স্কুলের নাম শুনলেই বিছানায় শুয়ে আঁতকে ওঠে পড়ুয়া। পরিবার সূত্রে খবর, সকালে স্কুল থেকে ফেরার পর ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়ে। প্রথমে কিছু বলতে চায় না পড়ুয়া। পরে সে জানায়, হোমওয়ার্ক না করায় স্কুলের শিক্ষিকা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। ছাত্রের মা বলেন, 'প্রথমে কিছু বলতে চায়নি। জোরাজুরি করতে পরে বলে।' ঘটনাটি জানার পরই, লেক থানার দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। চিকিৎসার জন্য ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ছাত্রের বাবা বলেন, 'থানায় জানিয়েছি। এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তাই চাইছি।'