এক্সপ্লোর
Advertisement
কৃষিবিল বিরোধী চাষিদের ট্যুইটে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলায় ফৌজদারি মামলা দায়ের কঙ্গনার বিরুদ্ধে
অভিযোগকারী কৃষকদের বক্তব্য, কঙ্গনার ট্যুইটার পোস্টে দাঙ্গা, হিংসা ছড়ানোয় প্ররোচনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে লোকসভায় গৃহীত কৃষিবিলের বিরোধিতা করা লোকজনকে আঘাত করার স্পষ্ট মনোভাব ছিল। এতে ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষজনের মধ্যে সংঘাত হতে পারে।
নয়াদিল্লি: কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হল কর্নাটকের টুমাকুরুর জেএমএফসি আদালতে। সংসদে পাশ হওয়া কৃষিবিলের বিরুদ্ধে দেশজোড়া বিক্ষোভ, আন্দোলনে সামিল কৃষকদের এক ট্যুইটে সন্ত্রাসবাদী বলে ‘কটাক্ষ’ করায় এফআইআর চেয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪, ১০৮,১৫৩ , ১৫৩ এ ও ৫০৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
কৃষিবিল ও কৃষকদের কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) দেওয়া নিয়ে সংশয়, বিভ্রান্তি কাটাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ট্যুইটের প্রতিক্রিয়ায় গত ২০ সেপ্টেম্বরের ট্যুইটে কঙ্গনা লেখেন, প্রধানমন্ত্রী, কেউ ঘুমিয়ে থাকলে তাকে জাগানো যায়। কেউ কিছু না বুঝলে তাকেও বোঝানো যায়, কিন্তু কেউ ঘুমিয়ে থাকার নাটক করলে বা বুঝতে না-ই চাইলে কী করা যাবে? এরা হল সেই একই সন্ত্রাসবাদী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) একজনেরও নাগরিকত্ব বাতিল হয়নি, কিন্তু ওরা এতখানি রক্ত ঝরিয়ে ছাড়ল!
प्रधानमंत्री जी कोई सो रहा हो उसे जगाया जा सकता है, जिसे ग़लतफ़हमी हो उसे समझाया जा सकता है मगर जो सोने की ऐक्टिंग करे, नासमझने की ऐक्टिंग करे उसे आपके समझाने से क्या फ़र्क़ पड़ेगा? ये वही आतंकी हैं CAA से एक भी इंसान की सिटिज़ेन्शिप नहीं गयी मगर इन्होंने ख़ून की नदियाँ बहा दी. https://t.co/ni4G6pMmc3
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 20, 2020
প্রতিবাদী কৃষক ও বিরোধী শিবিরের নেতাদের সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে ২০১৯ এর শেষদিকে দেশে উত্তাপ ছড়ানো সিএএ-বিরোধী আন্দোলন, বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টানেন কঙ্গনা।
অভিযোগকারী কৃষকদের বক্তব্য, কঙ্গনার ট্যুইটার পোস্টে দাঙ্গা, হিংসা ছড়ানোয় প্ররোচনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে লোকসভায় গৃহীত কৃষিবিলের বিরোধিতা করা লোকজনকে আঘাত করার স্পষ্ট মনোভাব ছিল। এতে ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষজনের মধ্যে সংঘাত হতে পারে। ওই ট্যুইটের ব্যাপারে সরকারি কর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে রয়েছে, এসব নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের কোনও প্রতিষ্ঠিত নিয়মবিধি, রূপরেখা, পদ্ধতি আছে বলে মনে হয় না। দেখেশুনে মনে হচ্ছে না, সরকারের এ নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা আছে, শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আগে যেন বরাবরের মতো তারা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে, কোনও বিপজ্জনক পরিণতি ঘটে কিনা। এধরনের কন্টেন্ট চলতে দিলে দেশের কৃষকদের অপূরণীয়, অভূতপূর্ব ক্ষতি হয়ে যাবে। হিংসা ছড়ানো ও দেশকে অস্থির করে তোলার উদ্দেশে সোস্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের কন্টেন্ট অনুমোদন করায় যারা দায়ী, যারা দেশের মেরুদণ্ড চাষিদের অবমাননা করতে তার প্রচার করছে, তাদের ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় বিচার ও সাজা হওয়া প্রয়োজন।
কৃষকদের তরফে আইনজীবী রমেশ নায়েকের মাধ্যমে পেশ করা আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর কর্নাটকের ডিজিপি ও এসপি-কেও ওই ট্যুইট সম্পর্কে ইমেলে অভিযোগ পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই নায়েক কঙ্গনার অপরাধ বিবেচনা করে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারায় এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিতে আদালতে আবেদন করেছেন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ফুটবল
জেলার
জেলার
Advertisement