Rahul Gandhi: এবার এশিয়ার বৃহত্তম আসবাব বাজারে, কাঠমিস্ত্রিদের কাজে 'হাত' রাহুলের; শুনলেন তাঁদের সমস্যার কথাও
Delhi: সপ্তাহখানেক আগেই দিল্লির আনন্দ বিহার রেল স্টেশনে পৌঁছে যান রাহুল। মোট বহনকারী কুলিদের সমস্যার কথা শুনতে হাজির হন তিনি
নয়া দিল্লি : কখনো কুলির বেশে, কখনো আবার ট্রেনের কামরায় যাত্রীদের মধ্যে, তো কখনো বাইক গ্যারেজে। নেমেছেন খেতেও। এবার হাত লাগালেন কাঠমিস্ত্রির কাজে। বৃহস্পতিবার দিল্লির কীর্তি নগরের বাজারে গিয়ে সেখানকার কাঠমিস্ত্রিদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)।
দিনকয়েক আগেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল কুলির বেশে। বেশিদিনের আগের কথা নয়। সপ্তাহখানেক আগেই দিল্লির আনন্দ বিহার রেল স্টেশনে পৌঁছে যান রাহুল। মোট বহনকারী কুলিদের সমস্যার কথা শুনতে হাজির হন। সেখানেই খেটে খাওয়া মানুষের ভিড়ে মিশে যান তিনি। গায়ে শুধু কুলির পোশাক চাপানো-ই নয়, প্রতীকী অর্থে মাথায় চাপিয়ে নেন স্যুটকেসও।
এবার রাহুল পৌঁছে গেলেন এশিয়ার অন্যতম বড় আসবাবপত্রের বাজারে যা কিনা দিল্লির কীর্তি নগরে রয়েছে। সেখানে বাজারে ছুতোরদের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। পাশাপাশি কিছু আসবাব তৈরির কাজে হাতও লাগান। কংগ্রেস সেই ছবি শেয়ারও করেছে।
'X' হ্যান্ডেলে রাহুল লেখেন, 'দিল্লির কীর্তি নগরে এশিয়ার সবথেকে বড় আসবাব বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে কাঠমিস্ত্রি ভাইদের সঙ্গে দেখা করি। কঠোর পরিশ্রমী হওয়া ছাড়াও, তাঁরা চমৎকার শিল্পীও। স্থায়িত্ব এবং সৌন্দর্য খোদাই বিশেষজ্ঞ।' তাঁর সংযোজন, 'আমরা অনেক আলোচনা করি, তাঁদের দক্ষতা জানতে পারি এবং কিছুটা শেখার চেষ্টা করি।'
সম্প্রতি রাহুলকে ছত্তিশগড় সফরে ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় তিনি ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, কংগ্রেসের রাজ্য ইনচার্জ কুমারী শৈলজার সঙ্গে ট্রেনের স্লিপার বগিতে বসে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
চলতি বছরের ২৮ জুন দিল্লির করোল বাগে এক বাইক মেকানিকের দোকানে কংগ্রেস সাংসদকে দেখা যায়। সেই সময় তাঁর বাইক ঠিক করার চেষ্টার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
২০ এপ্রিল দিল্লির মুখার্জি নগরে গিয়ে সেখানে UPSC-র জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন।
১৮ এপ্রিল তাঁকে পুরানো দিল্লিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যায়। সে সময় তিনি বাঙালি মার্কেটে সুস্বাদু খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন এবং পুরনো দিল্লিতে 'মহব্বত কা শরবত' উপভোগ করেন।
হরিয়ানার সোনপত জেলায় খেতে চাষিদের সঙ্গে ধানের চারা রোপণ করতেও দেখা গিয়েছিল রাহুলকে। পরে কিছু মহিলা চাষির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের তাঁর মায়ের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান।