Chandrababu Naidu FIR : করোনা নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন ! অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে FIR দায়ের
করোনার ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যবাসীকে। যার ফলে মানসিক চাপ বাড়ছে অন্ধ্রের বাসিন্দাদের। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে FIR দায়ের হয়েছে থানায়।
গুন্টুর : করোনার ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যবাসীকে। যার ফলে মানসিক চাপ বাড়ছে অন্ধ্রের বাসিন্দাদের। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে FIR দায়ের হল থানায়।
তেলেগু দেশম পার্টির প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন গুন্টুরের জেলা আদালতের আইনজীবী পচালা অনিল কুমার। ৩৭ বছরের এই অ্যাডভোকেটের অভিযোগ, চন্দ্রবাবু নাইডু ও তাঁর দলের প্রতিনিধিরা মিডিয়ায় করোনা নিয়ে ভীতির পরিবেশ তৈরি করছেন। তাঁরা বলছেন, সাধারণ করোনা ভাইরাসের থেকে আরও মারাত্মক N440k ভ্যারিয়েন্ট। যার উৎপত্তি অন্ধ্রপ্রদেশে। সাধারণ কোভিড ভাইরাসের ১০-১৫ গুণ বেশি ক্ষতিকারক এই ভ্যারিয়েন্ট আরও দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে।
এই বলেই থেমে থাকেননি ওই আইনজীবী। তাঁর দাবি, টিডিপি প্রধানের করোনার ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের ফলে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে অন্ধ্রপ্রদেশবাসী। মৃত্যু ভয়ে এখন অন্য রাজ্যেও যেতে রাজি তাঁরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজ্যবাসীর কাছে অপমানজনক। এই মর্মে গুন্টুরের অরুণডলপেট পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
তবে এই প্রথমবার নয়। গত ৮ মে কুর্নুলের পুলিশ স্টেশনে চন্দ্রবাবু নাইডুর নামে FIR দায়ের হয়। সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। করোনার N440k ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে ভয় ধরানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। রাজ্যের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০,৩৪৫ জন। একদিনে রাজ্যে মারা গিয়েছেন ১০৮ জন। তবে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা।
রাজ্যের করোনা বুলেটিন বলছে, ২৪ ঘণ্টায় অন্ধ্রপ্রদেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪,৫০২ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৫,১০২ জন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কদিন আগেই ভ্যাকসিনের গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের ওপর দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''কোভিড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করে চলছে রাজ্য। আমাদের গ্লোবাল অপশনগুলোও খোলা রাখতে হবে।''