জম্মু-কাশ্মীরের নীরু নদীতে কোভিড চিকিৎসার ওষুধ, প্রাণ হারাল শয়ে শয়ে মাছ
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ওই ধরনের ওষুধ নষ্ট করে ফেলা হয়।
শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীর হাসপাতালে সরবরাহ করা হয় এমন কয়েকশো মাছ মারা গেল। যার ফলে লোকসান হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। জম্মু কাশ্মীরের ডোডা জেলার ভাদেরওয়াহ এলাকার নীরু নদীতে মরা মাছ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, কোভিড-১৯ চিকিৎসার ওষুধ নদীতে ফেলার ফলে মাছগুলি মারা গিয়েছে।
পারনালা ও অটলগড় অঞ্চলে গুপ্ত গঙ্গা মন্দির লাগোয়া নদীতে প্রায় শখানেক মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। প্রথমে এর কারণ ধরতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁরা লক্ষ্য করেন, হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, বেটামেথোসিনের মতো করোনা চিকিৎসার ওষুধ নদীতে ফেলা হয়েছে। ভাদেরওয়াহর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রাকেশ কুমার বলেন, ’’বিষয়টিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি, ঘটনার তদন্তে একটি দল গঠন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।‘‘
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ওই ধরনের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলি নষ্ট করে ফেলা হয়।
নীরু নদী ভাদেরওয়াহ জেলার লাইফ লাইন বলে পরিচিত। এই নদীর সঙ্গে অনেক মৎস্যজীবীর জীবন জড়িত। এই নদী থেকে জল নিয়ে তারা মাছ চাষ করেন। অটলগড়ের বাসিন্দা নীরজ সিংহ মানহাস বলেন, ’’নদীতে আমরা বহু ওষুধের স্ট্রিপ ভাসতে দেখেছি। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো আরও কিছু ওষুধ যেগুলি কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীকে দেওয়া হয় তেমন ওষুধই ছিল। ওষুধের মেয়াদ ছিল ২০২২ সাল পর্যন্ত। কী কারণে কে বা কারা ওষুধগুলি ফেলে গিয়েছে তা বুঝতে পারছি না।‘‘ নীরজের মতে, সম্ভবত ডেলিভারি বয় কোভিড রোগীর কাছে যেতে চান বলেই ওষুধগুলি ওখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছেন।