Dakshineswar Fire: রাতে দক্ষিণেশ্বরে গ্যারেজে আগুন, মৃত ১
নিহত ব্যক্তি ওই গ্যারেজেই কাজ করতেন এবং সেখানেই থাকতেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণেশ্বর: দক্ষিণেশ্বরে একটি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া গারাজে ভয়াবহ আগুন। পুড়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির। গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই গারাজে আগুন লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগুন লাগার পরই তাঁরা একাধিকবার বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
দমকলের তিনটি ইঞ্জিন বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভস্মীভূত গারাজ থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির ঝলসানো মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মৃত ব্যক্তি রঙের কাজ করতেন। রাতে থাকতেন ওই গারাজে। আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গারাজে কয়েকটি গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। তার থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে ভয়াবহ আগুন নেভাতে গিয়ে আগুনের গ্রাসেই প্রাণ হারান কয়েকজন দমকলকর্মী। রেলের কয়লাঘাট ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। বদ্ধ লিফটের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসে প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সেই আগুনে ২টি লিফটে আটকে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আগুনের শিখা কলকাতাবাসীকে মনে করিয়ে দিয়েছিল এগারো বছর আগের আরেক অভিশপ্ত মার্চের কথা।
২০১০ সালের ২৩ মার্চ। সেদিন আগুন লাগে আঠেরোর এ’ পার্ক স্ট্রিটের স্টিফেন কোর্টে। পাঁচ ও ছ’তলায় আটকে পড়েন বহু মানুষ ৷ বাড়ি থেকে বেরোতে না পেরে প্রাণ হারান ৪৩ জন। তার দু’বছর আগে আরেক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী ছিল এই শহর।
২০০৮ সালের ১২ জানুয়ারি । আগুন লাগে বড়বাজারের নন্দরাম মার্কেটে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় বাড়ির সাত-সাতটি তলা। প্রায় চারদিন ধরে জ্বলে সেই আগুন ৷ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বারোশোর বেশি দোকান।
নন্দরাম মার্কেটের সেই অগ্নিকাণ্ডের অভিশপ্ত স্মৃতি ফিরে আসে দশ বছর পর বাগড়ি মার্কেটে। ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। মধ্য কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিটের বাগরি মার্কেটের এই ছ’তলা বাড়িতে আগুন লাগে। ধীরে ধীরে লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় গোটা বাড়িটাকে। তিনদিন ধরে তাণ্ডব চালিয়ে এত বড় বাড়িটাকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ভয়াবহ আগুন। কোটি কোটি টাকার জিনিস ছাই করে দিয়ে, সেই আগুন বহু মানুষকে সহায়-সম্বলহীন করে দিয়েছিল