করোনাভাইরাস: চিনে মৃত্যু বেড়ে ১৩২, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার
আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার। এদের মধ্যে প্রায় ১২০০ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। আগামী ১০ দিনে এই মহামারীর প্রকোপ আগামী ১০ দিনে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।করোনাভাইরাস মারাত্মক ছোঁয়াচে। ফলে, সামান্য সংস্পর্শেই এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িে পড়ে।
বেজিং: করোনা ভাইরাসে চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩২। আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার। এদের মধ্যে প্রায় ১২০০ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী ১০ দিনে এই মহামারীর প্রকোপ আগামী ১০ দিনে আরও বাড়বে। ফলে, মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।
চিন পেরিয়ে এপর্যন্ত ১৪টি দেশে ছড়িয়েছে ভাইরাস। আতঙ্ক বাড়িয়ে জার্মানিতে আরও তিনজনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের জীবাণু। রবিবার জার্মানির স্টানবার্গে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।
গত সপ্তাহে চিনা সহকর্মীদের সঙ্গে এক ওয়ার্কশপে যোগ দেওয়ার পরই আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। তাঁর থেকে সংক্রমণ ছড়ায় আরও তিনজনের মধ্যে। আক্রান্তদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হুবেই প্রদেশ-- যার রাজধানী হল ইউহান শহর, সেখানেই সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের আক্রান্ত হওয়ার কবর মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১২০০-র বেশি জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া, চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষের দেহে এই সংক্রমণ হানা দিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হুবেই প্রদেশে নতুন ৮৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই প্রবণতা দেখে, বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে এই ভাইরাস জনমানসে ছড়িয়ে পড়ছে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার কত, তা এখনও বিচার করা সম্ভব হয়নি। তবে, আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আগামীদিনে আরও বাড়বে। তবে, একটা তথ্য উঠে এসেছে। তা হন, মৃতদের অধিকাংশই ৬০ বছরেপ উর্ধ্বে। তাঁদের সকলের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার একটা ইতিহাস ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস মারাত্মক ছোঁয়াচে। ফলে, সামান্য সংস্পর্শেই এই ভাইরাস একজনের থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িে পড়ে। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের লক্ষণ আর পাঁচটা ফ্লু-এর লক্ষমের মতোই সমান। এখানেও মূল উপসর্গ হল জ্বর ও দুর্বলতা। ফলে, করোনা-মোকাবিলার দুটি পথ। একটি দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও আইসোলেশন। এই পদ্ধতি সাবেকি হলেও, এখনও বেশ উপযোগী।
করোনাভাইরাসের হানার জেরে চিনে শুনশান রাস্তাঘাট। যাত্রীশূন্য বাস, মেট্রো। খাঁ খাঁ করছে পর্যটকেন্দ্রগুলি। নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে তটস্থ চিনের হুবেই প্রদেশের উহান। গৃহবন্দি স্থানীয় বাসিন্দারা।