World News: নিহতের সংখ্য়া বেড়ে ৩৫, আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর দেহের টুকরো গুনছে কাবুল?
Kabul Suicide Bombing: নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কাবুলে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি, গত কাল যে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়েছিল তাতে শনিবার পর্যন্ত হতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। জখম অন্তত ৮২ জন।
কাবুল: নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কাবুলে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি, গত কাল যে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়েছিল তাতে শনিবার পর্যন্ত হতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। জখম অন্তত ৮২ জন। শুক্রবার কাবুলের পশ্চিম দিকের ডিস্ট্রিক্ট, 'দশত-ই-বারচি'-র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝামাঝি নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক জঙ্গি। সেখানে তখন বহু পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশাসনের আশঙ্কা, এর পর হতাহতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখনও কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
কী ঘটেছিল?
গত কাল তালিবান-নিযুক্ত কাবুল পুলিশের প্রধান খালিদ জারদান সংবাদসংস্থা এপি-কে প্রাথমিক ভাবে হতাহতের সংখ্যার কথা জানান। তার আগে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, 'দশত-ই-বারচি' এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে বিস্ফোরণ হয়েছে। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল নফি তাকোর দাবি করেছিলেন, একেবারে ভোরের দিকে বিস্ফোরণটি হয়েছে। কিন্তু এর বেশি কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সংবাদসংস্থা এপি-কে জানানো হয়, সরকারি তরফে একটি টিম ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনার নেপথ্য়ে কারা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিহাস বলছে, এর আগে তালিবানের প্রতিপক্ষ ইসলামিক স্টেট একাধিকবার মসজিদে হামলা চালিয়েছে। বিশেষত আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা অতীতেও তাদের নিশানায় এসেছে বলে অভিযোগ।
নিশানায় 'হাজারা' সম্প্রদায়...
যে এলাকায় গত কাল বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে প্রধানত আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমরা থাকেন। বিশেষত 'হাজারা' সম্প্রদায়ের মানুষজনের বসতভিটে এখানে। ঐতিহাসিক ভাবে এই সম্প্রদায়ের সদস্যরা নানা ভাবে নির্যাতিত হয়ে এসেছেন। বস্তুত আফগানিস্তানে এই ধরনের বিস্ফোরণ নতুন নয়। এপ্রিল ও তার আগে, মাসখানেকের মধ্যে বারবার এমন ঘটনা ঘটেছে।তার মধ্যে কাবুলেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এপ্রিলেই কাবুলে একটি স্কুলে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই ঘটনায় একাধিক মৃত্যু হয়েছিল। যে স্কুলের চত্বরে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল, সেটিও মূলত শিয়া অধ্য়ুষিত ছিল। তার আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পুল-ই-কিস্ত মসজিদে গ্রেনেড হামলা হয়। সেখানেও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। সেই সময়েই কয়েকদিন আগে-পরে কাবুলে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সেই ঘটনাতেও মারা গিয়েছিলেন একজন। বার বার কেন বিস্ফোরণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে আফগানিস্তান? উত্তর নেই। শুধু মৃত্যুমিছিল চলছে।
আরও পড়ুন:'প্রাথমিকে চাকরির টোপ', লালগোলায় তরুণের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য