US Tariff War: ‘এতদিন অন্যরা লুঠ-ধর্ষণ চালিয়েছে, এবার…’, ভারতের উপর বাণিজ্য শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প, তালিকায় আর কে কে?
US Tariff on India: দ্বিতীয় বার আমেরিকার মসনদে ফেরার পরই 'শুল্কযুদ্ধে' নেমে পড়েন ট্রাম্প।

নয়াদিল্লি: ঘোষণা মতোই ভারতের উপর শুল্কের পাল্টা শুল্ক চাপাল আমেরিকা। আমেরিকার পণ্যের উপর ভারত ৫২ শতাংশ হারে শুল্ক নেয়। পাল্টা শুল্ক চাপাতে গিয়ে ভারতকে 'ডিসকাউন্টও' দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় শুল্কের উপর তিনি ২৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছেন। অর্থাৎ ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যের উপর এখন থেকে ২৭ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে এই হারে শুল্ক কার্যকর হবে ভারতীয় পণ্যের উপর, যাকে ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। (US Tariff War)
দ্বিতীয় বার আমেরিকার মসনদে ফেরার পরই 'শুল্কযুদ্ধে' নেমে পড়েন ট্রাম্প। তিনি জানান, আমেরিকাকে অন্য দেশে ব্যবসা করতে চড়া হারে শুল্ক দিতে হয়। আমেরিকার বাজারে ব্যবসা করতে আসা ওই সমস্ত দেশের উপর এবার চড়া শুল্ক বসাবে তাঁর সরকারও। সেই মতোই বুধবার ভারত-সহ একাধিক দেশের উপর শুল্কের ঘোষণা করেন ট্রাম্প। (US Tariff on India)
শুল্কের পাল্টা শুল্ক ঘোষণার এই দিনটিকে 'Liberation Day' অর্থাৎ 'মুক্তির দিন' হিসেবে ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "এতদিন অন্যান্য দেশ আমাদের লুঠ করেছে, ধর্ষণ করেছে। প্রিয় আমেরিকাবাসী, আজ মুক্তির দিন। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান। ২ এপ্রিল দিনটিকে আমেরিকার শিল্পের পুনর্জন্ম দিবস হিসেবে মনে রাখা হবে চিরকাল। আজ আমেরিকার ভাগ্য ফেরানোর দিন, আমেরিকাকে আবার সম্পদে পরিপূর্ণ করে তোলার দিন। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে করদাতাদের নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছিল, আর তা হবে না।"
ভারতের উপর ট্রাম্প কী হারে শুল্ক বসান, সেই নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই জল্পনা চলছিল। কোনও ছাড় পাওয়া যায় কি না, সেই নিয়েও দিল্লির তরফে দৌত্য শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। এরই ফলশ্রুতি হিসেবে ট্রাম্প ভারতকে 'ডিসকাউন্ট' দিয়েছেন, ২৭ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতকে নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, "বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ওরা (ভারত) ৫২ শতাংশ হারে শুল্ক নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কিচ্ছুটি নিচ্ছিলাম না।" ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকার এই উদারতার ফলেই বাণিজ্য ঘাটতি চরমে পৌঁছেছে।
আমেরিকা শুল্ক বসানোয় অশনি সঙ্কেত দেখছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ছোট থেকে বড়, ধাক্কা খাবে সব সংস্থাই। তাই আগামী দিনে আমেরিকাকে আরও শুল্কছাড় দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। আমেরিকা থেকে আসা রত্ন, গয়না, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের উপর শুল্ক কমিয়ে আনার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে খবর দিল্লি সূত্রে। ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে শীঘ্রই দিল্লি আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্কছাড়ের দিকে এগোবে বলে জল্পনা।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো দেশের উপর যে শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা, বিশ্ব বাণিজ্যেও তার প্রভাব পড়বে। ভারতের অর্থনীতির উপর এবর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। সেই সঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কও প্রভাবিত হতে পারে এই সিদ্ধান্তের ফলে। শুল্কের পাল্টা যে শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প, তাতে চিনা পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপিয়ান ইউনিনের উপর ২০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার উপর ২৫ শতাংশ, জাপানের উপর ২৪ শতাংশ এবং তাইওয়ানের উপর ৩২ শতাংশ হারে শুল্ক চেপেছে।






















