(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
India News:টিআরএস নয়, এবার থেকে বিআরএস নামেই কেসিআরের দলকে চিনবে দেশ, সিলমোহর নির্বাচন কমিশনের
ECI Approves Change In Name:'তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি' বা টিআরএস নয়, এবার থেকে 'ভারত রাষ্ট্র সমিতি' বা বিআরএস নামেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলকে চিনবে গোটা দেশ।
হায়দরবাদ: 'তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি' বা টিআরএস (TRS) নয়, এবার থেকে 'ভারত রাষ্ট্র সমিতি' বা বিআরএস (BRS) নামেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (KCR) দলকে চিনবে গোটা দেশ। দলের নামবদলের আর্জিতে আজই সিলমোহর (approval) দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠার প্রায় ২১ বছর পরে টিআরএস থেকে বিআরএস হল কেসিআরের দল।
তোড়জোড়...
এই উপলক্ষ্যে তেলঙ্গানা ভবনে ঠিক দুপুর ১টা ২০ নাগাদ 'ভারত রাষ্ট্র সমিতি' দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়। ঘড়ি ধরে ওই মূহূর্তেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকায় সম্মতিসূচক সই করেন তেলঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রীর তথা দলের প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। সূত্রের খবর, নামবদলের পরে বিআরএসের নতুন পতাকাও উত্তোলন করার কথা রয়েছে। প্রতিষ্ঠা উৎসবও করতে পারেন কেসিআর। তবে এদিনের বৈঠক উপলক্ষ্যে দলীয় প্রতিনিধি ও নেতাদের তেলঙ্গানা ভবনে আসতে বলেছিলেন তিনি। দলের নাম বদলের জন্য গত ৫ অক্টোবর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ওই বৈঠকেই দলীয় সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীও আনা হয়েছিল। পর দিন অর্থাৎ ৬ অক্টোবর সেই প্রস্তাব ও সংশোধিত দলীয় সংবিধান নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। আজ, যখন একদিকে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের ভোটের ফলাফলে দিকে পুরো দেশের নজর রয়েছে, ঠিক তখনই এল সিলমোহর। প্রসঙ্গত, এদিন গুজরাতে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করে রেকর্ড ভেঙে জিতেছে বিজেপি। তবে হিমাচল প্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর হাতচিহ্নের কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছে পদ্মশিবিরকে।
কী হল?
২০২৪-এ দেশের লোকসভা নির্বাচন। তাঁর প্রাক্কালে কার্যত সেমিফাইনালের মঞ্চে নিজের গড়ে কংগ্রেসকে হেলায় হারালেন মোদি-শাহ। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বললেন, 'গুজরাতের ভোটে সবথেকে বেশি আনন্দ পেয়েছি যুব সম্প্রদায়ের বিজেপিতে আস্থা রাখায়। প্রায় ১ কোটি ভোটার এমন ছিলেন, যাঁরা কংগ্রেসের কুশাসন দেখেন-ই নি। কিন্তু তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন কংগ্রেসকে। বলা ভাল, উন্নয়ন, প্রগতির রাজনীতিই যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই ভাবনাতেই আস্থা রেখেছেন। নব প্রজন্ম সবসময় প্রশ্ন করে, তাঁদের প্রশ্নের ও চিন্তার দিশা যে বিজেপি-ই দিতে পারে, সেই আস্থা তাঁরা রেখেছেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশ সঙ্কটে থাকলে ভরসার নাম বিজেপি।' ১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় ১৫৬ টি আসন জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৭ আসন। আম আদমি পার্টি পেয়েছে ৫ টি ও নির্দলরা পেয়েছে ৩ টি আসন। সমাজবাদী পার্টি ১টি আসনে জয়ী হয়। হিমাচল প্রদেশের ক্ষেত্রে অবশ্য কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ৪০। বিজেপি পায় ২৫টি আসন। নির্দল পেয়েছে ৩টি।
আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন, আমি কেন খারাপ কথা বলব?প্রশংসা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের