এক্সপ্লোর
Advertisement
মুন্নারে ধস, ধ্বংসাবশেষের সামনে মালিকের জন্য চার দিন না খেয়ে অপেক্ষায় কয়েকটি কুকুর
মালিকের জন্য এমন মনমরা কুকুরগুলোর ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই তাদেরকে পুষতে চেয়েছেন অনেকেই। সে কথা তাঁরা নিজেরাই লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পেত্তিমালা: মুন্নার এলাকায় ধস নেমে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতিও সাংঘাতিক। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত কেরল। ঘটনাকে গত বছর ওয়েনাড় এবং কাভালাপ্পাড়া-র ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। ওয়েনাড়ে ধস নেমে চাপা পড়ে গিয়েছিল একটি আস্ত আদিবাসী গ্রাম। আবার কাভালাপ্পাড়া-য় গোটা একটা গ্রাম কার্যত ধ্বংস হয়ে যায় পাহাড় ভেঙে পড়ে।
গত শুক্রবার থেকেই পেত্তিমালা, মুন্নার এলাকার ক্ষেতমজুররা আপনজন, প্রিয়জনের খোঁজে ধ্বংসাবশেষের মাঝে এসে সময় কাটাচ্ছেন। যদি কাউকে পাওয়া যায়। তবে আস্তে আস্তে বাস্তবকে মেনে নিচ্ছেন তাঁরা। বুঝতে পারছেন আর হয়ত চাপা পড়ে যাওয়া কেউই বেঁচে নেই। যা সকলের নজর কেড়েছে তা হল ধ্বংসাবশেষের পাশেই কয়েকদিন ধরে ঠায় অপেক্ষা কয়েকটি কুকুর। এই সারমেয়দের মালিকও সম্ভবত চাপা পড়ে গিয়েছে ধসে। আর মালিকের শোকে মুহ্যমান এই প্রাণীগুলি। এমনকী কেউ কোনও খাবার দিতে চাইলেও তারা খাচ্ছে না। কেউ কেউ কুকুরগুলিকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছে। তখনকার মতো চলে গেলেও আবার ফিরে এসেছে তারা।মালিকের জন্য এমন মনমরা কুকুরগুলোর ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই তাদেরকে পুষতে চেয়েছেন অনেকেই। সে কথা তাঁরা নিজেরাই লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।গত চার দিন ধরেই ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে দেহ উদ্ধার করার, জীবিতদের সরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে এনডিআরএফ, কেএসডিআরএফ, কেরল ফায়ার ফোর্স, পুলিশ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। এলাকায় মোট ৮২ জন চা-শ্রমিক থাকতেন। ৪৯টি দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। জীবিত বের করে আনা গিয়েছে ১২ জনকে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
খবর
জেলার
Advertisement