এক্সপ্লোর
যা বলছি, রাজ্যের মন্ত্রীরা তাতেই বিরোধিতা করছেন! ক্ষুব্ধ ধনকড়, পাশে বিজেপি
সম্প্রতি রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিআরপিএফকে সিদ্ধান্ত যে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল। পাল্টা সুব্রত বলেন, আমি তো কিছু ভুল বলিনি। ঠিকই বলেছি।

কলকাতা: শিলিগুড়িতে রাজ্যপালের বৈঠকে প্রশাসনের অনুপস্থিতি, যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার, জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুন, কার্নিভালে ব্ল্যাকআউটের অভিযোগ, রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফকে দেওয়ার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত- একের পর এক ইস্যুতে সংঘাতে রাজভবন-নবান্ন মাথাচাড়া দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যের মন্ত্রীদের করা মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি বলেছেন, আমি যা বলছি, রাজ্যের মন্ত্রীরা তাতেই বিরোধিতা করছেন। ডেকোরাম ভেঙে মন্ত্রীরা বলছেন। সম্প্রতি রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিআরপিএফকে সিদ্ধান্ত যে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল। পাল্টা সুব্রত বলেন, আমি তো কিছু ভুল বলিনি। ঠিকই বলেছি। তিনি রাজ্যের কাছে নিরাপত্তা চাইতে পারতেন। উনি বলেছেন, উনি নাকি মর্মাহত। কিন্তু এতে দুঃখ পাওয়ার তো কিছু নেই। আমি সংসদীয় রাজনীতি বহুদিন থেকে করছি। কাকে কী বলতে হয়, সেটা জানি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় তৃণমূল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিবৃতি দিয়ে বলেন, রাজ্যপালের সাংবিধানিক এক্তিয়ারের অপব্যবহার করা এবং প্রতিদিন রাজনৈতিক গিমিক বন্ধ করা উচিত। পশ্চিমবঙ্গ সুন্দর রাজ্য। রাজ্যপালের অবশ্যই সুন্দর জায়গায় ঘোরা উচিত এবং রাজ্য সরকারের আতিথেয়তা গ্রহণ করা। এটাই কাম্য। এদিন তা নিয়েও ক্ষোভ জানিয়ে ধনকড় বলেন, আমি কি ট্যুরিস্ট? আমি গিমিক করছি? রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যের স্বার্থে কাজ করেন। তারপরও মন্ত্রীরা এরকম বলেন কী করে? মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব বিষয়টা দেখা। দুর্গাপুজোর কার্নিভালে বিভিন্ন চ্যানেলকে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া ফিডে অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁকে না দেখানোর ঘটনা নিয়েও শুক্রবার ফের অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। ব্ল্যাক আউটের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন ও চলে যাওয়ার সময়ও বলি। আমি পাবলিসিটি হাঙ্গার নই। তবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তিত। রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, রাজ্যপালকে চুপ করিয়ে রাখতে চায় তৃণমূল। উনি সক্রিয়। যাদবপুরের ঘটনা কি ভুলে গিয়েছে? তৃণমূল সরকারের সমালোচনায় সরব হন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও। সব মিলিয়ে রাজভবন-শাসক সংঘাত দিনে দিনে ক্রমেই বাড়ছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















