সঙ্কটজনক কোভিড-১৯ রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নয়, গুরুতর হলে দেওয়া যেতে পারে রেমডেসিভির, নয়া নিদান স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
রেমডেসিভির কীভাবে ও কতটা প্রয়োগ করতে হবে, তাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে
![সঙ্কটজনক কোভিড-১৯ রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নয়, গুরুতর হলে দেওয়া যেতে পারে রেমডেসিভির, নয়া নিদান স্বাস্থ্যমন্ত্রকের Health Ministry Recommends Anti-Viral Drug Remdesivir For Moderate COVID-19 Cases, Drops HCQ For Treating Critically Ill Patients সঙ্কটজনক কোভিড-১৯ রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নয়, গুরুতর হলে দেওয়া যেতে পারে রেমডেসিভির, নয়া নিদান স্বাস্থ্যমন্ত্রকের](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/06/14174739/web-hcqs-2-win-still-140620.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়ে এবার সুর বদল কেন্দ্রের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সুপারিশ, করোনা-রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে তবেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, অবস্থা গুরুতর বা সঙ্কটজনক হলে তখন এইচসিকিউ-এর মতো অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ওষুধের পরিবর্তে রেমডেসিভির-এর মতো অ্য়ান্টি-ভাইরাল ব্যবহার করাই হবে যুক্তিযোগ্য।
পাশাপাশি, সংক্রমণের অ্যাডভান্সড স্টেজে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ওষুধ টোকিলিজুমাব এবং প্লাজমা থেরাপির ব্য়বহারেও সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, যে সকল রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা প্রয়োজন, তাঁদেরকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন ওষুধ প্রয়োগ এড়িয়ে চলাই ভাল।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও, সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে বহুক্ষেত্রে ভাল কাজ দিয়েছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন।
অন্যদিকে, রেমডেসিভির সম্পর্কে বলা হয়েছে, অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই অ্যান্টি-ভাইরাল প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে, বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন-- রেনাল ইম্পেয়ারমেন্ট, উচ্চ লিভার ইনজাইম, অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হওয়া মহিলা এবং শিশুদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয় নয়।
এমনকী, রেমডেসিভির কীভাবে ও কতটা প্রয়োগ করতে হবে, তাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে। কেন্দ্রের সুপারিশ, প্রথমদিন ২০০ মিলি ও পরের পাঁচদিন ১০০ মিলি করে ওষুধ ইঞ্জেকসনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করতে হবে।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, স্টেরয়েড প্রয়োগ সত্ত্বেও রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে, প্লাজমা থেরাপি করা যেতে পারে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)