বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষায় গুরুত্ব, থ্যালাসেমিয়া রুখতে নয়া পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভার
হাওড়ায় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিহ্নিতকরণ দীর্ঘদিনের এক সমস্যা। এর মূল কারণ হল প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব।
সুনীত হালদার, হাওড়া: বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষায় গুরুত্ব দিতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। আগামিকাল চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলায় থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই হাসপাতলে এইচপিসিএল মেশিন বসানো হয়েছে। যাতে দ্রুত থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিহ্নিত করা যায়।
হাওড়ায় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিহ্নিতকরণ দীর্ঘদিনের এক সমস্যা। এর মূল কারণ হল প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব। ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, রক্ত পরীক্ষার যে যন্ত্র হাই পারফরম্যান্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি বা এইচপি সিএল মেশিন প্রয়োজন হয়, তা নেই। ফলে হাওড়ার বাসিন্দাদের কলকাতায় গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করাতে হত। এই সমস্যা মেটাতে ২০১৭ সালে হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি এইচপিসিএল মেশিন কেনা হয়। কিন্তু ওই মেশিন সেভাবে ব্যবহার না হওয়ার কারণে সেটি থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল পড়েছিল।
সম্প্রতি হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর এক বৈঠকে ওই মেশিন যথাযথ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপ রায় জানিয়েছেন, 'এবার থেকে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের বিনামূল্যে এবং সাধারণ মানুষের থেকে সামান্য টাকা নিয়ে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হবে। উদ্দেশ্য থ্যালাসেমিয়া রোগীকে চিহ্নিতকরণ। যাতে এই রোগের প্রকোপ কমানো যায়।' এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই নিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রচার করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গতকালই টিকাকরণ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় হাওয়ায়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও মেসেজ না আসায় আতঙ্ক বাড়তে থাকে গ্রাহকদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, একশো জনের বেশি ভ্যাকসিন গ্রহীতার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রত্যেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের স্মৃতি উসকে দিচ্ছে হাওড়ার ঘটনা। যদিও ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাওড়া ময়দানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাওড়া শাখার অফিসে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছিল মাস দুয়েক আগে থেকে। বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছিল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই স্বেচ্ছাসেবী সংঠনের মাধ্যমে মূলত তাদেরই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল যাদের থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে অর্থাৎ সুপার স্প্রেডারদের। তা ছাড়া সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছিল ভ্যাকসিন।