India Pakistan Conflict : ছিঃ! আমেরিকায় গিয়েও পুড়ল মুখ,পাকিস্তানের নাকে ঝামা ঘষে দিল ট্রাম্প প্রশাসন
পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছেছেন আমেরিকা। আর সেখানে গিয়ে মুখ খুলতেই তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হল বেনজির পুত্রকে।

ওয়াশিংটন : যেখানেই যাচ্ছে , মুখ পুড়ছে পাকিস্তানের। ভারতের দেখাদেখি বিদেশে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু মালয়েশিয়া থেকে আমেরিকা, যেখানেই যাচ্ছে মুখচুন হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের। নিজেদের কৃতকর্মের জন্য কার্যত বিদেশের মাটিতেও বেইজ্জত হতে হচ্ছে বিলাবল ভুট্টো জারদারিদের। ইসলামিক দেশ মালয়েশিয়াও পাকিস্তানের আবদারে পাত্তা দেয়নি। বিশ্বের দরবারে ভারতের বিরুদ্ধে মুসলিমদের হেয়ো করার অভিযোগ তুলেও বেইজ্জতি হয়েছে। পাকিস্তানের মিথ্যাচার বন্ধ করে দেয় এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিকের অকাট্য যুক্তি। এবার আমেরিকার কাছে কাঁদুনি গাইতে গিয়ে বড় ঝটকা খেতে হল বিলাবলকে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছেছেন আমেরিকা। আর সেখানে গিয়ে মুখ খুলতেই তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হল বেনজির পুত্রকে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে, মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান স্পষ্ট ভাষায় পাকিস্তানি দলকে একটি কড়া বার্তা দেন। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর একথা বারবার বলে আসছে ভারত। এবার ভারতের মতোই পাকিস্তানকে নিজেদের জায়গা মনে করিয়ে দিল আমেরিকা। পাকিস্তানের কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বিশেষ করে জইশ-ই-মহম্মদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন বিলাবলদের। ২০০২ সালে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিল এই গোষ্ঠীই।
এক্স হ্যান্ডেলে -এর পোস্ট করে মিঃ শেরম্যান জানান, তিনি পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে । বিশেষ করে জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে ।
শেরম্যান আরও মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু খ্রিস্টান, হিন্দু এবং আহমদিয়া মুসলমানদের সুরক্ষা দিতে সচেষ্ট হতে হবে সরকারকে। তাদের বিরুদ্ধে যেন হিংস্রভাব না দেখানো হয় , দেখতে হবে। ধর্মীয় নিপীড়ন,বৈষম্য বা অসম বিচার ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে হবে। ব্র্যাড শেরম্যান পাকিস্তানের কাছে ডক্টর শাকিল আফ্রিদিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে সিআইএকে সাহায্য করার জন্য ডক্টর আফ্রিদিকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। শেরম্যান বলেন, "ডক্টর আফ্রিদির মুক্তিই হবে ৯/১১-এর মারা যাওয়া মানুষদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি।"
প্রায় একই সময়ে শশী তারুরের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দলও ছিল আমেরিকায়। তারা আলোচনা করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের সঙ্গে।






















