Retail Inflation: ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমল, ফেব্রুয়ারির পর কোথায় দাঁড়িয়ে গ্রাফ ?
India's Retail Inflation: ভারতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৬.৪৪ শতাংশ থেকে মার্চে ৫.৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
নয়াদিল্লি: ভারতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি (Retail Inflation) ফেব্রুয়ারিতে ৬.৪৪ শতাংশ থেকে মার্চে ৫.৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে। পাশাপাশি গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৬.১০ শতাংশের থেকে সোজা ৫.৮৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
পতন খুচরা মুদ্রাস্ফীতির গ্রাফে
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫.৮৮ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা কমে হয় ৫.৭২ শতাংশ। এই সংখ্যা কার্যত চিন্তামুক্ত করবে অর্থনীতিবিদদের বলেই কথা উঠেছিল বিশেষজ্ঞ মহলে। যদিও এবার ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে আসতেই আরও পতন হল খুচরা মুদ্রাস্ফীতিতে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, আরও পতন খুচরা মুদ্রাস্ফীতির গ্রাফে।
প্রতিটি পরিবারের জন্য সুখবর
খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির পতন প্রতিটি পরিবারের জন্য সুখবর বলা যেতে পারে। কারণ প্রতিটি পরিবারের বাজেটের একটি বড় অংশ খাদ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়। গত ডিসেম্বরে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি স্থির ছিল। দ্বিতীয় মাসের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার ভিতরে ছিল ওই হার। ৪৫ জন অর্থনীতিবিদের সমীক্ষা অনুসারে একবছর আগে ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫.৯০ শতাংশ। এবার তার থেকেও নেমেছে।
মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ ছিল
মূলত ভারত-সহ সারা বিশ্বের মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ মুদ্রাস্ফীতি। রাশিয়া -ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং কোভিড পরিস্থিতির জেরে একটা দীর্ঘ সময় সরবারহ চেনে বড়সড় ক্ষতি হয়। ওই সময় হুহু করে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেলেও পরে তা নেমে আসে। যা মূলত খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড়সড় সাহায্য করেছে।
প্রভাব পড়বে ভারতে
অপরদিকে, বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোর প্রভাব পড়বে ভারতে। সেই অনুয়ায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরবর্তী বৈঠকে রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রথম MPC সভা ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এবার।
আরও পড়ুন, শ্যুটিং সেটে আহত হওয়ার খবর অস্বীকার, 'ভাল আছি', ট্যুইট সঞ্জয় দত্তের
সুদের হার নির্ধারণের জন্য RBI-এর আর্থিক নীতি কমিটি প্রতি দুই মাস অন্তর এই বৈঠক করে। এই বৈঠকটি এমন সময়ে হয়েছে, যখন খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার এখনও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের 0৬ শতাংশের রেঞ্জের উপরে ছিল। সুদের হার নির্ধারণের সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক খুচরো মুদ্রাস্ফীতিকে সবচেয়ে বেশি বিবেচনা করে। এ ছাড়া কিছু দেশীয় ও বিশ্বের মন্দার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে।