EPFO Deadline: আধার-পিএফ নম্বর সংযুক্তিকরণের মেয়াদ বাড়ল ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
ইউএএন হল ১২ সংখ্যার একটি বিশেষ নম্বর, যে সব কর্মচারীর প্রভিডেন্ট ফান্ড থাকে তাঁরা এই নম্বর পান
নয়াদিল্লি: আধার-ভেরিফায়েড ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন)-সংযুক্তিকরণের সময়সীমা তিন মাস বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করল এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)।
এর ফলে, নিজ নিজ ইউএএন বা প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণের জন্য আরও তিনমাস বেশি সময় পাবেন গ্রাহকরা। এর আগে, সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, ১ জুন থেকে আধার-ইউএএন সংযুক্তিকরণ না থাকলে, পিএফে টাকা পড়বে না।
এদিন নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্য়মে সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনা অতিমারীর সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রাপ্ত অনুরোধকে মাথায় রেখে অনুরোধআধার-ভেরিফায়েড ইউএএন-এর সঙ্গে ইলেকট্রনিক চালান কাম রিসিট (ইসিআর)-এর সংযুক্তিকরণ করার সময়সীমার মেয়াদ ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর করা হয়েছে।
গত মে মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। ইপিএফও সেই নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়ে জানিয়েছে, এখনও আধার বাধ্যতামূলক করা রয়েছে। তবে, সময়সীমা বৃদ্ধি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইউএএন হল ১২ সংখ্যার একটি বিশেষ নম্বর। যে সব কর্মচারীর প্রভিডেন্ট ফান্ড থাকে তাঁরা এই নম্বর পান। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আধার নম্বরের সঙ্গে এই ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর যুক্ত করতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ডে কোম্পানির দেওয়া টাকা জমা হবে না।
অন্যদিকে, এই দুটি নম্বরের সংযোগ থাকলে করোনা পরিস্থিতিতে চিকিত্সা, শিক্ষা, বাড়ি তৈরির মতো প্রয়োজনে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলার সুবিধা পাওয়া যাবে।
আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী, জুন থেকে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনাকালে কর্মীর ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে আধার যোগ করা হয়নি। দুটি নম্বরের সংযুক্তিকরণ না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ডে কোম্পানির টাকা জমা পড়বে না।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে দেশ। সংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরিজীবী, তাঁদেরও টান পড়েছে পকেটে। এই অবস্থায় কষ্টার্জিত প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চয়ের সুবিধা হাতছাড়া হতে পারে আধারের সঙ্গে ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর যুক্ত না করলে।
এই পরিস্থিতিতে, মেয়াদ বাড়ানোর দাবি তোলে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, সরকার অনেক তাড়াহুড়ো করেছে। এতে অনেক শ্রমিক সমস্যায় পড়বেন।