Chocolates in AC Coaches: প্রথমবার এসি কামরা করে চকোলেট ও ন্যুডলস পরিবহণ করল দক্ষিণ-পশ্চিম রেল
পার্সেল এক্সপ্রেসের ১৮টি কোচে ১৬৩ টন চকোলেট গোয়ার ভাস্কো থেকে দিল্লির ওখলার উদ্দেশে রওনা দেয়...
নয়াদিল্লি: প্রথমবার বাতানুকুল কোচে চকোলেট ও ন্য়ুডলস পরিবহণ করল দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ে। ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া এই কামরা করে সম্প্রতি চকোলেট ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পরিবহণ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম রেল।
ভারতীয় রেলের তরফে ট্য়ুইট করে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো, বসে থাকা এসি-২ টায়ার ও এসি-৩ টায়ার কামরা করে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চকোলেট পাঠানো হয়। পার্সেল এক্সপ্রেসের ১৮টি কোচে ১৬৩ টন চকোলেট গোয়ার ভাস্কো থেকে দিল্লির ওখলার উদ্দেশে রওনা দেয়।
দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের বিভাগীয় রেল ম্যানেজার অরবিন্দ মালখেড়ে বলেন, এটি এভিজি লজিস্টিকের একটি কনসাইনমেন্ট ছিল, যা হুব্বালি ডিভিসনের তরফে পরিবহন করা হয়েছিল। যেহেতু রেল পরিষেবা দ্রুত, মসৃণ এবং সাশ্রয়ী, তাই ভারতীয় রেল এর মাধ্যমে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখে।
আরও পড়ুন: এবার কনফার্ম টিকিট অন্যের নামে হস্তান্তরের সুবিধা পাবেন রেল যাত্রীরা
হাব্বলি বিভাগের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বিডিইউ) রেলওয়েকে ট্রাফিকের এই নতুন ধারাটি কাজে লাগাতে সাহায্য করেছে, যা সড়ক পরিবহণের প্রচলিত পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, ২১১৫ কিলোমিটার যাত্রা, যা শুক্রবার শুরু হয়ে শনিবার শেষ হয়েছিল, রেলকে ১২.৮৩ লক্ষ টাকার রাজস্ব এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রী সমস্যায় এক সমাধান, 'রেল মদদ' আনল ভারতীয় রেল
ভারতীয় রেলে এবার এসি ইকোনমি ক্লাস চালু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই ধরনের ২৭টি কোচ তৈরি করেছে রেল। দেশের বিভিন্ন জোনে এই ধরনের দূরপাল্লার ট্রেন চালাবে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে।
দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার সমাপ্তি। এবার সাশ্রয়ী 'এসি ইকোনমি ক্লাস' পাওয়া যাবে দূরপাল্লার ট্রেনে। নতুন এসি ৩-টায়ার কোচে থাকবে ৭২-এর বদলে ৮৩টি বার্থ।
বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেনে এসি ইকোনমি ক্লাসের ভাড়ার বিষয়ে ভাবছে রেল। নন-এসি স্লিপার ক্লাসের যাত্রীদের কথা ভেবেই এই ভাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে রেল।
তবে এ ক্ষেত্রে অন্য মতও রয়েছে। রেলের একাংশ চাইছে, নতুন ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া এসি-৩ টায়ারের প্রায় সমান রাখা হোক।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের জন্য সুখবর, ভারতীয় রেলে শীঘ্রই এসি ইকোনমি ক্লাস
ঠিক গত সপ্তাহে, একইভাবে এসি কামরা করে চকোলেট ও স্ন্যাকস জাতীয় খাদ্যপণ্য পরিবহণ করেছিল নর্দার্ন রেলওয়ে। পঞ্জাবের ফিরোজপুর ডিভিসন থেকে কর্নাটকের যশবন্তপুরে পাঠানো হয়েছিল ওই কনসাইনমেন্ট।