Rupee Record Low: টাকার দামে নয়া সর্বকালীন পতন, প্রতি ডলারে ৮০.৫৮, ঋণের উপর বাড়বে সুদের হার!
Indian Rupee Falls: বুধবার আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের তরফে তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার বাড়ানো হয়। আগামী দিনে সুদের হার আরও বাড়বে বলে আগাম জানিয়ে রেখেছে তারা
নয়াদিল্লি: অতিমারি পরবর্তী মূল্যমৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছিল আগেই। তাকে সত্য প্রমাণিত করে এ বার চাকার দামে সর্বকালীন পতন ঘটল (Rupee Record Low)। বৃহস্পতিবার বাজার খোলার সময়ই প্রতি মার্কিন ডলার প্রতি টাকার দাম দাঁড়ায় ৮০.২৮ (US Dollar)। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও নিচে নেমে ৮০.৫৮-এ এসে ঠেকেছে। গতকাল বাজার বন্ধের সময় ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৭৯.৯৭৫০।
টাকার দামে রেকর্ড পতন, সর্বকালীন তলানিতে ভারতীয় মুদ্রা
বুধবার আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) তরফে তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার বাড়ানো হয়। আগামী দিনে সুদের হার আরও বাড়বে বলে আগাম জানিয়ে রেখেছে তারা। তাদের যুক্তি, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব আমেরিকার ভাঁড়ারেও টান পড়ছে। তাতেই সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। তাতে বিগত ২০ বছরে ডলারের দাম সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকেছে। আর তাতেই রাতারাতি ভারতীয় টাকার দাম সর্বকালীন তলানিতে এসে ঠেকল।
রেলিগেয়ার ব্রোকিং সংস্থার কমোডিটি অ্যান্ড কারেন্সি রিসার্চ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন, আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ তৃতীয় বারের জন্য ডলারের উপর সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও আপাতত ইতি পড়ার ইঙ্গিত নেই। তার প্রভাব পড়ছে ভারতের অর্থনীতির উপর। তাতেই টাকার দাম সর্বকালীন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। নিজেদের অর্থনীতিকে বাঁচাতে আমেরিকা এতটা কঠোর পদক্ষেপ করবে, তা সকলের ধারণার বাইরে ছিল বলেও জানিয়েছে তিনি।
আরও পড়ুন: DA : রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড় জয়, ডিএ মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হাইকোর্টের
গত তিন মাসে ভারতের ইকুইটি বাজারে ৮৫০ কোটি ডলার ঢুকেছে। ঘরোয়া বাজারে নিফটি ০.৬ শতাংশ নিচেই ছিল। তাতেও কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই শীঘ্রই ডলার প্রতি টাকার দাম আরও নিচে নেমে ৮১-তে চলে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না বলে মনে করছেন সুগন্ধা।
মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির হাঁড়িকাঠে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের
টাকার দামে এই পতনের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) ফের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্কও ঋণদানের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।