Multidimensional Poverty Index:দেশের সবচেয়ে গরিব রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড,উত্তরপ্রদেশ, রিপোর্ট নীতি আয়োগের
MPI :ওই রিপোর্ট অনুসারে, বিহারের জনসংখ্যা ৫১.৯১ শতাংশই দরিদ্র। ঝাড়খণ্ডে এর পরিমাণ ৪২.১৬ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে ৩৭.৭৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৩৬.৬৫ শতাংশ এবং মেঘালয়ে ৩২.৬৭ শতাংশ।
নয়াদিল্লি: নীতি আয়োগের রিপোর্টে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে দারিদ্র্যের বেহাল দশা। নীতি আয়োগের প্রথম বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক ( Multidimensional Poverty Index -MPI) রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে গরিব রাজ্য বিহার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশ। এরপরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও মেঘালয়।
নীতি আয়োগের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য, স্কুলে শিক্ষার বছরে বঞ্চিত জনসংখ্যার শতকরা হার, স্কুলে হাজিরা ও রান্নার জ্বালানি ও বিদ্যুতের সুযোগ থেকে বঞ্চিত জনসংখ্যার শতকরা হারের মতো মাপকাঠিতেও বিহারের স্থান তালিকায় একেবারে শেষে।
ওই রিপোর্ট অনুসারে, বিহারের জনসংখ্যা ৫১.৯১ শতাংশই দরিদ্র। ঝাড়খণ্ডে এর পরিমাণ ৪২.১৬ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে ৩৭.৭৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৩৬.৬৫ শতাংশ এবং মেঘালয়ে ৩২.৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে , কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে দারিদ্র্য সূচকে ওপরের দিকে রয়েছে দাদরা নগর হাভেলি (২৭.৩৬ শতাংশ), জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ (১২.৫৮ শতাংশ), দমন ও দিউ (৬.৬২ শতাংশ), চণ্ডীগড় (৫.৯৭ শতাংশ)।
দেশের মধ্যে গরিবি সবচেয়ে কম কেরলে। দক্ষিণের এই রাজ্যে এর হার মোট জনসংখ্যার ০.৭১ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে গোয়া (৩.৭৬ শতাংশ), সিকিম (৩.৮২ শতাংশ), তামিলনাড়ু (৪.৮৯ শতাংশ) ও পঞ্জাব (৫.৫৯ শতাংশ)।
নীতি আয়োগ চেয়ারম্যান রাজীব কুমার রিপোর্টের ভূমিকায় বলেছেন, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
কুমার আরও জানিয়েছেন, ভারতের প্রথম জাতীয় এমপিআই মাপকাঠি ২০১৫-১৬ পর্বের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (এনএফএইচএস) রেফারেন্সের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে।
এমপিআই স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনের মান-এই তিনটি বিষয়ে মূল্যায়ণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। পুষ্টি, শিশু ও কিশোর মৃত্যু হার, স্কুলে শিক্ষার বছর, স্কুলে উপস্থিতি, খাদ্য প্রস্তুতির ক্ষেত্রে জ্বালানি, সচ্ছ্বতা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, সম্পত্তি যেমন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো ১২ টি দিক নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে।