(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Prophet Remarks Protest: 'নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,' আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দ সংগঠনের, ফতোয়া জারির হুঁশিয়ারি
Prophet Remarks Row: নূপুরের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়ে পড়েছে ভারত। একটু একটু করে মাথাচাড়া দেওয়া অশান্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশের অন্দরেও।
নয়াদিল্লি: বিতর্কের মুখে পড়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন নেত্রী। কিন্তু পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্য ঘিরে অশান্তি থামার নাম নেই। এমন পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিতে এগিয়ে এলেন জামাত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamaat Ulama-e-Hind) প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। ইসলামের রীতি মেনেই নূপুরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
হিংসার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা উলেমা-ই-হিন্দ সংগঠনের
নূপুরের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়ে পড়েছে ভারত। একটু একটু করে মাথাচাড়া দেওয়া অশান্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশের অন্দরেও। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড-সহ একাধির রাজ্যের কিছু জায়গায় চরম অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সেই আবহে রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কাসমি। দেশ জুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে সংগঠন সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কাসমি বলেন, "এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ইসলামে বিশ্বাস থাকলে, নূপুর শর্মাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নূপুর শর্মার মন্তব্য অবমাননাকর হলেও, শুক্রবাররে নমাজের পর যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই আমরা।"
আরও পড়ুন: UP News: খুনের পর অ্যাসিড ঢেলে পোড়ানো হয় দেহ! আখের জমি থেকে অষ্টাদশীর দেহাংশ উদ্ধার
সমালোচনার মুখে পড়ে নূপুরকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কাসমি। তিনি বলেন, "নূপুর শর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতে আইন রয়েছে। আমরা নিজের হাতে সেই আইন তুলে নেব না। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, আইনভঙ্গের অধিকার নেই আমাদের।" যে বা যাঁরা অশান্তি এবং হিংসা ছড়ানোয় যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কাসমি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মহম্মদ মাদানির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আইন হাতে না তুলে নেওয়ার আর্জি
শুধু তাই নয়, যে সমস্ত সংগঠন হিংসায় উস্কানি জুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আর্জি জানিয়েছে জামাত উলেমা-ই-হিন্দ।