(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Health News:মহারাষ্ট্র-তেলঙ্গানায় বাড়ছে 'মাম্পস'-র দাপট, খুদে সদস্যকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাবেন কী ভাবে?
Mumps In Kids:বাড়ির ছোট সদস্যটি কি জ্বরে ভুগছে? সঙ্গে ক্লান্তি, পেশিতে যন্ত্রণা, তীব্র মাথাব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে? সেক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন, মনে করছেন ডাক্তাররা।
নয়াদিল্লি: বাড়ির ছোট সদস্যটি কি জ্বরে ভুগছে? সঙ্গে ক্লান্তি, পেশিতে যন্ত্রণা, তীব্র মাথাব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে? সেক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন, মনে করছেন ডাক্তাররা। কারণ, এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানায় শিশুদের ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে 'মাম্পস'। সাধারণ ভাবে এই ভাইরাল সংক্রমণে মুখের দু-দিকের 'প্যারোটিড গ্ল্যান্ডস' ফুলে যায়। ব্যথাও হয়ে থাকে। তবে ডাক্তারদের বক্তব্য, এবার যে ভাবে রোগটি মাথাচাড়া দিয়েছে, তাতে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। কাজেই সাবধান।
বিশদে...
ক্লান্তি, জ্বর, গ্ল্য়ান্ড ফুলে যাওয়া, পেশিতে যন্ত্রণা এবং মাথাব্যথা--সাধারণ ভাবে এই উপসর্গ থাকে 'মাম্পস'-র ক্ষেত্রে। বিশেষত, 'মেনিনজাইটিস' এবং বধিরত্বের জটিলতা তৈরি হচ্ছে কিনা, সেদিকেও নজর দেওয়া দরকার। সন্তানসম্ভবা মহিলারা আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। সব মিলিয়ে চিন্তার কারণ থাকছে।
কী ভাবে সাবধান হবেন?
ডাক্তারদের মতে, ভাইরাসঘটিত এই রোগ সাধারণ ভাবে কাশি-হাঁচির মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির 'প্যারোটিড গ্ল্যান্ডস' ফুলে ওঠার ১-২ দিন আগে থেকে শুরু করে ৫ দিন পর পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এটির দাপট কমাতে হলে তিনটি জিনিস অবশ্য়ই অনুসরণ করা দরকার। প্রথমত, অতিমারির সময় যে 'রেসপিরেটরি এটিকেট' মানা হত, সেটি এক্ষেত্রেও মেনে চলা দরকার। আক্রান্ত ব্যক্তি যেন কোনও জনবহুল জায়গায় না যান। এবং অবশ্য়ই তাঁর পক্ষে যথাসম্ভব বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, কিছু উপসর্গ দেখলে আগে থেকে সতর্ক হওয়া দরকার। যেমন, ২-৩ দিন জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, খিদে না পাওয়ার মতো উপসর্গ থাকার পাশাপাশি যদি কান বা চোয়ালের কাছে ফোলা ভাব অনুভূত হয়, অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা দরকার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফোলা জায়গায় ব্যথা থাকতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার কানেও ব্যথা হতে পারে।
গ্ল্যান্ডের ফোলা ভাব কমতে অন্তত ৭ দিন সময় লাগে। বাকি সব উপসর্গ ৩-৫ দিনের মধ্যে কমে যাওয়ার কথা। তবে এক্ষেত্রে ফোলা ভাব অনুভূত হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই পরিস্থিতি মোকাবিলার একমাত্র পথ।
কেন চিন্তা?
সাধারণত আবদ্ধ জায়গা, যেখানে একসঙ্গে বহু পড়ুয়া থাকে, সেই জায়গাগুলিই এই সংক্রমণের হটস্পট। একাংশের বক্তব্য, এর প্রতিষেধক নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকায় 'ইউনিভার্সাল প্রোগ্রাম ফর ইমিউনাইজেশন'-র তালিকা থেকেও বাদ রাখা হয়েছে। ডাক্তারদের বক্তব্য, আগাম নিয়ন্ত্রণের জন্য একমাত্র প্রতিষেধকের সঠিক ব্যবহারই উপযুক্ত। তবে সংক্রমণ হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )