(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
TMC : ‘পথ দেখিয়েছেন মমতাই’ উত্তরপ্রদেশ-নির্বাচনে কংগ্রেসের ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণাকে কটাক্ষ তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, এই ভয়ঙ্কর সময়ে কংগ্রেস যা অনুকরণ করতে চাইছে, তা ভাল
নয়াদিল্লি: দেশের রাজনীতিতে মহিলা প্রতিনিধিত্বে পথ দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতবর্ষে তৃণমূলই প্রথম দল যারা লোকসভা ভোটে ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ট্যুইট করে এই দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, এই ভয়ঙ্কর সময়ে কংগ্রেস যা অনুকরণ করতে চাইছে, তা ভাল। আমরা আশা করব, এই প্রচেষ্টা আন্তরিক এবং কোনও চমক নয়। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিলে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, সমস্ত রাজ্যেই মহিলাদের জন্য কংগ্রেসের ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা উচিত।
গতকালই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ঘোষণা করেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মোট প্রার্থীর ৪০ শতাংশই হবে মহিলা। তারপরই তৃণমূলের তরফে এই পোস্ট।
এক্কেবারে তলানি থেকে শুরু করে, উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছতে, এবার নারীশক্তির ওপর আস্থা রেখেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের নতুন স্লোগান - ‘লড়কি হু...লড় সাকতি হু’! ইন্দিরা গাঁধীর নাতনি ঘোষণা করেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মোট প্রার্থীর ৪০ শতাংশই হবে মহিলা।
৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের জন্মভিটে উত্তরপ্রদেশেই ক্ষমতায় নেই গান্ধীরা! ৯-এর দশকে মণ্ডল-কমন্ডলের লড়াই শুরু হতেই, ধীরে ধীরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষইতে শুরু করে কংগ্রেস। কল্যাণ সিং-মায়াবতী-মুলায়মদের দাপটে ধীরে ধীরে চতুর্থস্থানে নেমে যায় তারা। আর নরেন্দ্র মোদির দাপটে তো নিজেগের গড় অমেঠিও হাতছাড়া হয়ে গেছে গাঁধী পরিবারের। দেশের সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন যে রাজ্যে, সেই উত্তরপ্রদেশ থেকে কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা এখন...মাত্র ১! ছেলে হারলেও, প্রবল মোদি হাওয়াতেও, রায়বরেলি ধরে রেখেছেন মা...সনিয়া!
এই পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে নেমে, উত্তরপ্রদেশ থেকেই শুরুটা করেন প্রিয়ঙ্কা! কিন্তু, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে ধরাশায়ী হয় কংগ্রেস । এবার তাঁর নেতৃত্বেই আগামী বছর বিধানসভা ভোটে নামছে কংগ্রেস! উত্তরপ্রদেশে মোট ভোটার ১৪ কোটি ৬১ লক্ষ। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৯০ লক্ষ। মহিলা ভোটার ৬ কোটি ৭০ লক্ষ।
অর্থাত উত্তরপ্রদেশের মোট ভোটারের ৪৬ শতাংশই মহিলা। আর এই মহিলা ভোটের মন পেতেই, উত্তরপ্রদেশে মহিলা প্রার্থীদের ওপর জোর দিচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। যদিও, একে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি। মোদি সরকারের মন্ত্রী সতীশ মহানা কটাক্ষের সুরে বলেছেন, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ৭জন বিধায়ক আছে। অর্থাত একটা ইনভো গাড়িতেই সকলে ধরে যায়। আগামী বছর কংগ্রেস আরও ছোট হয়ে যাবে।
৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেওয়ার প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ঘোষণাকে নাটক আখ্যা দিয়েছেন বিএসপি সভানেত্রী মায়াবতী। পাল্টা নাম না করে অখিলেশ-মায়াবতীর উদ্দেশ্যে প্রিয়ঙ্কার প্রশ্ন, গত কয়েক বছর ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে একা কংগ্রেস লড়াই করছে, বাকি দলগুলি কোথায়? জাতীয় রাজনীতিতে এখন একটাই প্রশ্ন, গাঁধী পরিবারের কনিষ্ঠতম রাজনৈতিক সদস্যকে কি এবার বিধানসভা ভোটে লড়তে দেখা যাবে? যোগী আদিত্যনাথকে টক্কর দিতে কি প্রিয়ঙ্কা ভোটযুদ্ধে নামবেন?
প্রিয়ঙ্কার মহিলা পোল স্ট্র্যাটেজি ঘোষণার পর, বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।