Rajouri Terrorist Attack: 'শ্রীনগরের দিকে আশ্রয় নিতে পারে জঙ্গিরা', পাক জঙ্গি হানায় ৪ সেনার মৃত্যুর পর টানা তল্লাশি
Rajouri Terrorist Attack: রাজৌরিতে পাক জঙ্গি হানায় ৪ সেনার মৃত্যুর পর টানা তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা।
নয়াদিল্লি: গুলিবর্ষণ এই প্রথমবার নয়। অতীতেও সাক্ষী তিক্ত অভিজ্ঞতা। বছর তিনেক আগেও ফিরেছিল এমন দৃশ্য। যদিও প্রেক্ষাপটট ছিল আলাদা। আর এবার পাক জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হল উপত্যকা। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় ভারতীয় সেনার দুটি গাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। এরপরেই প্রকাশ্যে এসেছিল তিন জওয়ান শহীদ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই শোকেরা ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে উপত্যকা ছাড়িয়ে সারা দেশে। এদিকে রাজৌরিতে পাক জঙ্গি হানায় (Rajouri Terrorist Attack) ৪ সেনার মৃত্যুর পর টানা তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ( Indian Army)।
'..শ্রীনগরের দিকে আশ্রয় নিতে পারে জঙ্গিরা'
ডেরা কি গলির জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা ? সন্দেহ সেনার। পুঞ্চ জুড়ে তাই চিরুনি তল্লাশিতে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর
পালিয়ে এসে শ্রীনগরের দিকে আশ্রয় নিতে পারে জঙ্গিরা, সতর্ক করা হয়েছে পাহাড়ে মোতায়েন সেনা জওয়ানদের। গোপন সূত্রে কোনও খবর পেলেও, তা খতিয়ে দেখে অপারেশনে যেতে সেনাকে পরামর্শ। সেনা সূত্রের খবর, জঙ্গিরা যাতে কোনও ফাঁদে ফেলতে না পারে, তা খতিয়ে দেখে অপারেশন যেতে সেনাকে পরামর্শ। এরইমধ্যে আখনুরে ৪ জঙ্গির অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখল ভারতীয় সেনা।
এর আগেও একই জায়গায় একাধিকবার জঙ্গি হানা
গত মাসেই ২৪ ঘণ্টা টানা সংঘর্ষের পর জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir 2 Terrorist Died) রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছিল ২ পাকিস্তানি জঙ্গি (Pakistani Terrorists Death)। তার আগে, গত কাল, রাজৌরি (Rajouri) জেলার কালাকোট জঙ্গলে, সেনাবাহিনীর ৪ সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। সেনা সূত্রে খবর এসেছিল, নিহত জঙ্গিদের একজনের নাম 'কারি'। পাকিস্তানের বাসিন্দা 'কারি'লস্কর-ই-তইবার উচ্চপদস্থ নেতা। সেনাবাহিনীর কাছে যা খবর, তাতে ওই যুবককে রাজৌরি জেলার নির্দিষ্ট এলাকায় সন্ত্রাসবাদে নতুন করে অক্সিজেন জোগাতেই পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন, মানব পাচারচক্রের শিকার, নাকি বেআইনি অনুপ্রবেশের চেষ্টা! ৩০০-র বেশি ভারতীয় সমেত বিমান আটক ফ্রান্সে
আইইডি বিশেষজ্ঞ 'কারি' গুহায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় নাশকতামূলক কার্যকলাপ দিব্যি চালিয়ে যেতে পারত সে। স্নাইপার হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষ ছিল সে। জম্মুতে সেনার ডিফেন্স পাবলিক রিলেশনস অফিসার বলেছিলেন, 'পাকিস্তান এবং আফগান ফ্রন্টে প্রশিক্ষিত ছিল সে। লস্করের উচ্চপদস্থ নেতা ছিল কারি।' বছরখানেক ধরেই রাজৌরি এলাকায় নিজের দলবল সমেত কাজকর্ম করছিল লস্কর নেতা। সেনার ধারণা, ডাংরি এবং কানডি হামলার নেপথ্যে সে-ই ছিল মাস্টারমাইন্ড।