নমাজ পড়ার সময়ই মাথার উপর ধসে পড়ল স্কুলবাড়ি, চাপা পড়ল বহু পড়ুয়া, ভয়ঙ্কর পরিণতি
Indonesia Islamic school building collapse:

ভয়ঙ্কর ঘটনা। নমাজ পড়ার সময়ই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল বাড়ি। ইন্দোনেশিয়ায় একটি ইসলামিক স্কুলে মর্মান্তিক পরিণতি হল নমাজরত পড়ুয়াদের ! সংবাদ সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে কমপক্ষে ৬৫ জন পড়ুয়া চাপা পড়েছেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে বহু দেহ। সময় যত এগোচ্ছে , ততই বাড়ছে মৃত্যুমিছিল। উদ্ধারকারী দলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাড়িটির নির্মাণের কাজ চলছিল। অনেকর মতে এই বাড়িটির নির্মাণ বেআইনি। সেখানেই নমাজ পড়ছিল ছোট ছোট শিশুরা। আর তখনই ঘটে গেল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা।
সোমবার (২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) নমাজ পড়ছিলেন বহু ছাত্র। তখনই ঘটে এই ঘটনা। পূর্ব জাভার সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের ছাত্র তাঁরা। শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের জন্য কোমর বেঁধে কাজ করছে পুলিশ, সৈন্য এবং উদ্ধারকর্মীরা। রাতভর ধ্বংসস্তূপের ভেতরে খনন চালানো হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, বহু মৃতদেহ আটকে রয়েছে। মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। দ্য হিন্দু অনুসারে, স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র জুলস আব্রাহাম আবাস্ত জানান,যে বাড়িটিতে সবাই নমাজ পড়ছিলেন, সেটি একটি নির্মীয়মান ভবন। সেটির অনুমতিও ছিল না। সম্প্রসারণের কাজ চলাকালীনই সেখানে দুপুরের নামাজ পড়ছিলেন ছাত্রপা। হঠাৎ করে তখনই ভবনটি তাদের উপর ধসে পড়ে।
দ্য হিন্দু অনুসারে, এক নিহত ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে হয়ত, জীবিত বা মৃত অবস্থাতে আটকে রয়েছেন ৮৩ জন ছাত্র। তাদের নিকটবর্তী দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুপুরের শেষ আপডেট বলছে,উদ্ধারকারী দল ৭৯ জন শিক্ষার্থীকে নিরাপদে বের করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপের অনেকে শিক্ষার্থী চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কতজন তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিভাবকরা। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রশাসনের গা ফিলতি নিয়ে। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ২ জন মারা যায়।
চলতি বছরে বর্ষা কালে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্কুল বাড়ির ছাদ। মরুরাজ্যের ঝালাওয়ারে পিপলোদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে মৃত্যুও হয় অনেক শিক্ষার্থীর । ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু শিক্ষার্থী আটকে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায়। প্রশাসনের দিকে ওঠে আঙুল। দুর্ঘটনার সময় স্কুলে ৬০ জন পড়ুয়া হাজির ছিল। জখম হয় বহু পড়ুয়া।





















