UP's Bareilly Protest: ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার প্রতিবাদে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ, বন্ধ হল ইন্টারনেট, নামল র্যাফ
র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও নামানো হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও করা হচ্ছে।

নয়া দিল্লি: সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘আপত্তিকর জনসভা’ এবং ‘মিছিলে’র আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ। ‘আই লাভ মহম্মদ’ লেখা পোস্টার দেখা যায় এক মিছিলে। সেই নিয়ে শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। কানপুর, বরেলি, সম্ভল, আগ্রার মত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই সম্প্রদায়।
উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে সংঘর্ষ তীব্র আকার নেয়। অশান্তি নিরসনে প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টা বন্ধ থাকবে ওই এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা। শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট। এর পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ এবং রাজ্যের সশস্ত্র কনস্টেবলারির সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও নামানো হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও করা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব গৌরব দয়াল আদেশে বলেছেন যে ফেসবুক, ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং মেসেজিং পরিষেবাগুলি গুজব ছড়াতে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার জন্য অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শান্তি ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবিনাশ সিং বলেছেন, "বিক্ষোভের জন্য পূর্ব লিখিত অনুমতির প্রয়োজন, বিএনএসএসের ১৬৩ ধারা বরেলি জুড়ে বলবৎ ছিল। এ সত্ত্বেও, কিছু লোক শুক্রবারের নামাজের পর শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।" ডিআইজি অজয় কুমার সাহনি ঘটনাটিকে "পূর্বপরিকল্পিত" বলে অভিহিত করেছেন এবং "দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি" দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
পুলিশ শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন, অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দশেরা আসছে। দুষ্টের দমনই দশেরার আসল বার্তা।
পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১১টি এফআইআর দায়ের করেছে, যার মধ্যে ২,০০০ জনেরও বেশি লোকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। দু'টি মামলায় সরাসরি ধর্মগুরু এবং ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের (আইএমসি) প্রধান মাওলানা তৌকির রাজা খানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবারের হিংসার ঘটনায় প্রায় ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।






















