Ayatollah Ali Khamenei: 'শত্রুদের এবার চরম জবাব দেব', আমেরিকার হামলায় ক্ষিপ্ত আয়াতোল্লা খামেনেইর বড় হুঁশিয়ারি
Iran Israel Conflict: সোমবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খামেনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি অব্যাহত থাকবে’ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নয়া দিল্লি: আমেরিকার হামলার পর ইজরায়েলের ওপর আক্রমণের তীব্রতা বাড়াল ইরান। জেরুজালেম, তেল আভিভ, হাইফা-সহ ইজরায়েলের একাধিক শহরে শুরু হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হানা। আমেরিকার হামলায় ক্ষিপ্ত আয়াতোল্লা খামেনেই ইজরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন তিনি।
ইরানকে ২ সপ্তাহ সময় দিয়েও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার রাতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে আমেরিকা। ৭টা স্টেলথ B-2 বম্বার্স-সহ ১২৫টির বেশি এয়ারক্রাফট প্রায় ১৪ হাজার কেজি ওজনের ১ ডজনের বেশি GBU-57 বা বাঙ্কার বাস্টার ব্যবহার করে ২ ডজনের বেশি টোমাহক করুজ মিসাইল নিয়ে হামলা করা হয় বলে সূত্রের খবর।
সোমবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খামেনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি অব্যাহত থাকবে’ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সোশাল মিডিয়ায় এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'শত্রুরা একের পর এক বড় ভুল করেছে। গুরুতর অপরাধ করেছে। শাস্তি দিতে হবে। তারা শাস্তি পাচ্ছেও।' ইজরায়েলে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানের হামলা
পোস্টটির সঙ্গে একটি জ্বলন্ত ভবনের পটভূমিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি খুলির ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এটার ওপর ডেভিড তারকা চিহ্ন আঁকা রয়েছে, যা ইজরায়েলি প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের ৩টি পরমাণু কেন্দ্রে 'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার' চালায় আমেরিকা। হামলার পর ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
এদিকে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতে পাল্টা আঘাত হানল ইরান। ইজরায়েলের একের পর এক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল তারা। মিনিটে মিনিটে বাজল সাইরেন। জেরুজালেমে শোনা গেল জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ। ইরানের দাবি, ইজরায়েলের হারমেস ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে তারা। মধ্যপ্রাচ্যের এই মহাযুদ্ধে দু’ দেশেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবু কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ।
অন্যদিকে, ইরানে হামলা চালিয়ে নিজের দেশেই প্রতিবাদের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধের বিরোধিতা করে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ দেখানো হয়।






















