Pakistan Crisis: অগ্নিমূল্য আটা-চিনি, সিলিন্ডার কিনতে না পেরে প্লাস্টিকের ব্যাগেই রান্নার গ্যাস, শ্রীলঙ্কার মতোই সঙ্কটে পাকিস্তান!
Pakistan Food crisis: শুধুই আটা-ময়দার দাম বাড়েনি পাকিস্তানে। রান্নার গ্যাসের দামও সেখানে হাত পোড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের।
লাহৌর: নয়া পাকিস্তান গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন। কিন্তু তার পর ন’মাসও কাটেনি, চরম সঙ্কটে পাকিস্তান (Pakistan Crisis)। খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে সেখানে (Pakistan Food Crisis)। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, আটা বোঝাই একটি লরিকে ধাওয়া করতে দেখা গেল স্থানীয় মানুষজনকে। কেউ খালি পায়েই দৌড় দিলেন, কেউ আবার সাইকেল, মোটর বাইক নিয়ে পিছু ধরলেন লরিটির। লক্ষ্য শুধু একটিই, কোনও রকমে এক প্যাকেট আটা যদি পাওয়া যায়।
খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে পাকিস্তানে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিওটি সামনে এসেছে, যার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। ভিডিওটি পোস্ট করেছেন ন্যাশনাল ইক্যুয়াল্টি পার্টি জম্মু কাশ্মীর গিলগিট বাল্টিস্তান অ্যান্ড লাদাখ (JKGBL)-এর চেয়ারম্যান, অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। তিনি লেখেন, ‘এটি কোনও মোটর সাইকেল প্রতিযোগিতা নয়। পাকিস্তানের মানুষ আটাবোঝাই লরির পিছনে দৌড়চ্ছেন এই আশায় যে, এক প্যাকেট আটা অন্তত কিনতে পারবেন পাকিস্তানে কি সত্যিই কোনও ভবিষ্যৎ আছে আমাদের? পাকিস্তানে কী ঘটছে, এই ভিডিও-ই তা পরিষ্কার করে দিচ্ছে’।
পাকিস্তানে এই সঙ্কটের মূলে আটা-ময়দার আকাশছোঁয়া দাম। এই মুহূর্তে সেখানে ১৫ কেজি ওজনের আটার বস্তার দাম পড়ছে ২ হাজার ৫০ টাকা। প্রথমে একধাক্কায় ১৫০ টাকা দাম বাড়ে আটার। এই মুহূর্তে যে দাম পড়ছে, তা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩০০ টাকা বেশি।
This isn’t a motorcycle rally, ppl in #Pakistan are desperately chasing a truck carrying wheat flour, hoping to buy just 1 bag. Ppl of #JammuAndKashmir should open their eyes. Lucky not to be #Pakistani & still free to take decision about our future. Do we have any future with🇵🇰? pic.twitter.com/xOywDwKoiP
— Prof. Sajjad Raja (@NEP_JKGBL) January 14, 2023
আরও পড়ুন: Bankura News: হাতির উপদ্রবে নষ্ট বিঘের পর বিঘে জমির ফসল, রাতভর আটকে রাখা হল বন দফতরের আধিকারিকদের
শুধুই আটা-ময়দার দাম বাড়েনি পাকিস্তানে। রান্নার গ্যাসের দামও সেখানে হাত পোড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের। গত সপ্তাহে সেখানে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম একধাক্কায় অনেক বাড়ানো হয়। সিলিন্ডারের দাম এতই বেশি যে প্লাস্টিকের ব্যাগে গ্যাস ভর্তি করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। ১ কেজি চিনির দাম পড়ছে ৮৯ টাকা, প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি। কেজিতে এতদিন ৭৫ টাকা দরে ঘি কিনতে পাওয়া যেত পাকিস্তানে, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৭৫ টাকায়।
তাতেই কপালে ভাঁজ পড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে। কারণ গত একবছরে পাকিস্তানে খাদ্যজাত পণ্যের ক্ষেত্রে ৩৫.৫ এবং পরিবহণ ক্ষেত্রে ৪১.২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। পাকিস্তানের এই পরিস্থিতি দেখে শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথাও মনে পড়ছে কারও কারও।
কপালে ভাঁজ পড়ছে আন্তর্জাতিক মহলের
পাকিস্তানের জনসংখ্যার সিংহভাগই আটা-ময়দার উপর নির্ভরশীল। তাঁদের খাদ্যাভাসের ধরনই এমন। কিন্তু সেই আটা কিনতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত এক বছরে সেখানে আটার দাম বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। ৪১ শতাংশ দাম বেড়েছে ময়দার। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সরকাকে কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরা।