Israel Hama War:গাজায় 'লিমিটেড গ্রাউন্ড রেড'-র আগে নতুন অস্ত্র 'আয়রন স্টিং' ব্যবহার ইজরায়েলের, কী এটি?
Iron Sting:আইজরায়েল যে গাজায় স্থলপথে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, সেটা প্রায় পরিষ্কার ছিল। কিন্তু সেই হামলার আগে তারা যে 'আয়রন স্টিং' নামে নতুন এবং অত্যাধুনিক সিস্টেম ব্যবহার করবে, সে কথা সম্ভবত কেউ টের পায়নি
নয়াদিল্লি:আকাশপথে হামলা এবং অবরোধের পর ইজরায়েল (Israel Hamas War) যে গাজায় স্থলপথে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, সেটা প্রায় পরিষ্কার ছিল। কিন্তু সেই হামলার আগে তারা যে 'আয়রন স্টিং' (Israel Deploys Iron Sting) নামে নতুন এবং অত্যাধুনিক সিস্টেম ব্যবহার করবে, সে কথা সম্ভবত ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়নি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, রবিবারের 'লিমিটেড রেড'-এর আগে হামাসের রকেট লঞ্চার ধ্বংস করতে এই 'আয়রন স্টিং' কাজে লাগিয়েছে ইজরায়েল।
কী 'আয়রন স্টিং'?
গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। তবে রবিবার সম্ভবত, এই যুদ্ধের এখনও পর্যন্ত সবথেকে তীব্রতম 'এরিয়াল অ্যাটাক'করে ইজরায়েল। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, অন্তত ৪০০ জন প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। যদিও হামাস দাবি করে, ৭০ জনের প্রাণ গিয়েছে। রবিবারের এই আকাশপথে হামলার মধ্যেই 'আয়রন স্টিং'নামে ওই অস্ত্র ব্যবহার করে ইজরায়েলের সেনা ও বিমানবাহিনী। তাদের মতে, 'এটি নতুনতর এবং নিখুঁত মর্টার বোমা।' এই হামলার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে আইডিএফ। সেই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, শত্রুপক্ষের রকেট লঞ্চারকে নিক্ষেপের মুহূর্তে মধ্যেই একেবারে নিখুঁতভাবে ধ্বংস করছে ১২০ মিমি মর্টার। যদিও ইজরায়েলের তরফে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তারা। বরং হামাস জানায়,রাতের দিকে ট্যাঙ্ক এবং পদাতিক বাহিনী আক্রমণ করেছিল। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে এই হামলা চলে। তাদের বিবৃতিতে, 'যোদ্ধারা এই অনুপ্রবেশকারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন। দুটি বুলডোজার, একটি ট্যাঙ্ক নষ্ট করা হয়েছে। ওদের ফিরতে বাধ্য করেছি আমরা।'
আরও যা...
এই মুহূর্তে গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল সোমবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছনোর আর্জি জানান। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, মানবিকতার খাতিরে ত্রাণ এই সংঘর্ষ আপাতত বন্ধ করা যায় কিনা তা নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা করুক ইইউ। গত সপ্তাহান্তে মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে দুটি ট্রাকের কনভয় ত্রাণ নিয়ে গাজায় গিয়েছে। সোমবার আরও একটি ট্রাকের কনভয় গাজা ঢোকে। যদিও ত্রাণকার্যের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলির বক্তব্য, ইজরায়েলি অবরোধ ও বোমাবর্ষণের জেরে পুরোপুরি বিধ্বস্ত একচিলতে ভূখণ্ডে এই মুহূর্তে আরও ত্রাণের দরকার। সে সব আসবে কবে? অবরোধ উঠবে কবে? যুদ্ধই বা কবে থামবে? উত্তর নেই।
আরও পড়ুন:মাটি হবে দশমী, একাদশীও ? পুজোর শেষলগ্নে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি-অসুর