Kapil Sibal: জগদীপ ধনকড় নিখোঁজ? FIR দায়েরের ভাবনাও, অমিত শাহের কাছে জবাব চাইলেন কপিল সিব্বল
Jagdeep Dhankhar: সকালে রাজ্যসভায় অধিবেশন করিয়ে গত ২১ জুলাই রাতে হঠাৎই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনকড়।

নয়াদিল্লি: উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওযার পর থেকে কোনও খোঁজ নেই। জগদীপ ধনকড় এখন কোথায়, তিনি আদৌ নিরাপদে আছেন কি না, সেই নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাজে জবাব চেয়েছেন তিনি। সিব্বলের বক্তব্য, “ ‘লাপতা লেডিজ’ শুনেছি, ‘লাপতা ভাইস প্রেসিডেন্ট’ নয়।” (Kapil Sibal)
সকালে রাজ্যসভায় অধিবেশন করিয়ে গত ২১ জুলাই রাতে হঠাৎই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনকড়। ২২ জুলাই জানা যায়, তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই থেকে জনসমক্ষেও আর দেখা যায়নি তাঁকে, তাঁকে নিয়ে কোনও খবরও সামনে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে ধনকড়ের স্বাস্থ্য তো বটেই, তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিব্বল। (Jagdeep Dhankhar)
সিব্বলের, “২২ অগাস্ট থেকে আজ ৯ অগাস্ট। উনি (ধনকড়) কোথায় আছেন, আমরা কেউ জানি না। সরকারি বাসভবনে নেই উনি। প্রথম দিন আমি যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। ফোন ধরেছিলেন ওঁর ব্যক্তিগত সচিব। জানিয়েছিলেন, উনি বিশ্রাম করছেন। রাজনীতিতে ধনকড়ের সতীর্থরা কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। আমি ‘লাপতা লেডিজে’র কথা শুনেছিলাম, ‘লাপতা ভাইস প্রেসিডেন্টে’র কথা শুনিনি কখনও।”
VIDEO | In a press conference, Rajya Sabha MP Kapil Sibal (@KapilSibal) says, "On July 22, Jagdeep Dhankhar resigned, we don't know where he is... It seems that the Opposition will have to protect him. I had called, I was informed he is taking rest, after that, nobody is taking… pic.twitter.com/nMoqw3HtHo
— Press Trust of India (@PTI_News) August 9, 2025
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন সিব্বল। তিনি লেখেন, ‘উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, আমরা কি খবর পেতে পারি: উনি কোথায় আছেন? উনি নিরাপদে আছেন তো? কেন ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না? অমিত শাহের জানা উচিত! উনি আমাদের রাষ্ট্রপতি। দেশের কাছে খবর থাকা উচিত’।
সিব্বলের অভিযোগ, ধনকড় দেশের উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন। বরাবর সরকারকেই সমর্থন করে গিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতিতে, তাতে মনে হচ্ছে, বিরোধীদেরই ওঁকে রক্ষা করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের কী করা উচিত? হিবিয়াস কর্পাস জমা দেব কি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে নিশ্চয়ই খবর আছে। অমিত শাহের বিবৃতি দেওয়া উচিত। ওঁর শরীর যদি খারাপও হয়, তিনি কোথায় চিকিৎসা করাচ্ছেন, পরিবারের কেউ কিছু বলছেন না কেন? কী সমস্যা হয়েছে? অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটে। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে মানুষকে সবকিছু জানানো উচিত।” বন্দিদশা থেকে কাউকে মুক্ত করে সশরীরে আদালতে হাজির করানোর আবেদনকে বলা হয় হিবিয়াস কর্পাস।
রাজ্যসভায় বার বার বাদানুবাদ, তর্কবিতর্কে জড়ালেও, ব্যক্তিগত ভাবে ধনকড়ের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন সিব্বল। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আইনজীবী হিসেবেও কাজ করেছেন ধনকড়। একসঙ্গে অনেক মামলা লড়েছেন তাঁরা। তাই ধনকড়কে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরাসরি এফআইআর দায়ের করলে ভাল দেখাবে না বলেই প্রশ্ন করছেন বলে দাবি সিব্বলের। পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা কেন কেউ কিছু বলছেন না, প্রশ্ন তুলেছেন সিব্বল।
Vice President Jagdeep Dhankar
— Kapil Sibal (@KapilSibal) August 9, 2025
Can we be informed :
Where is he ?
Is he safe ?
Why is he incommunicado ?
Amit Shah ji should know !
He was our Vice President ; the country should be worried !
উপরাষ্ট্রপতির পদ অলঙ্কৃত করার পাশাপাশি, রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন হিসেবে সংসদের উচ্চকক্ষের অধিবেশনও পরিচালনা করতেন ধনকড়। সেখানে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের সঙ্গে বার বার সংঘাত দেখা দেয় তাঁর। তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। জল এত দূর গড়ায় যে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচ প্রস্তাবও আনা হয়। ধনকড়ইউ দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, যাঁকে সরানোর প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আচমকা তিনি ইস্তফা দেওয়াতে শোরগোল পড়ে যায়। ধনকড় ইস্তফা দেননি, তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। ঘুষকাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে তিনি বিরোধীদের আবেদন গ্রহণ করেছিলেন বলেই তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে দাবি ওঠে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ধনকড়ের বনিবনা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। সেই আবহেই ধনকড়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল।






















