Kangana Ranaut: 'ইমার্জেন্সি' দেখতে ইন্দিরা-পৌত্রীকে আমন্ত্রণ কঙ্গনার, প্রিয়ঙ্কার জবাব...
Kangana Ranaut invites Priyanka Gandhi: বলিউডের পাশাপাশি, রাজনীতিতেও বিতর্কিত চরিত্র কঙ্গনা।
নয়াদিল্লি: আইনি জট কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে কঙ্গনা রানাউতের ছবি 'Emergency'. দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন, কঙ্গনা। সেই ছবির প্রদর্শনীতে ইন্দিরার পৌত্রী, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আমন্ত্রণ জানালেন নায়িকা, তথা বিজেপি-র তারকা সাংসদ। নিজেই সেকথা জানালেন কঙ্গনা। প্রিয়ঙ্কা কী উত্তর দিয়েছেন, তা-ও জানালেন। (Kangana Ranaut)
অভিনয় ক্ষমতা বরাবর প্রশংসিত হলেও, বলিউডেও বিতর্কিত বলেই পরিচিত কঙ্গনা। বিজেপি-র হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেও সেই বিতর্কিত তকমা সেঁটে গিয়েছে তাঁর নামের পাশে। নেহরু-গাঁধী পরিবার, কংগ্রেসকে একাধিক বার আক্রমণও করেছেন কঙ্গনা। সরাসরি রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কার উদ্দেশেও আক্রমণ শানিয়েছেন। (Kangana Ranaut invites Priyanka Gandhi)
কিন্তু নিজের ছবির প্রদর্শনীতে সেই প্রিয়ঙ্কাকেই আমন্ত্রণ জানান কঙ্গনা। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এর খোলসা করেছেন। কঙ্গনার বক্তব্য, "সংসদে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে আলাপ হয়। প্রথমেই ওঁকে বলি, 'আপনার Emetgency দেখা উচিত'। প্রিয়ঙ্কা সহৃদয়তাই দেখান। বলেন, 'হ্যাঁ, হতে পারে'।"
গাঁধী পরিবারের ছবিটি দেখা উচিত বলে মত কঙ্গনার। তাঁর বক্তব্য, "আমার মনে হয়, অত্যন্ত সংবেদনশীল ভাবে, বিচক্ষণতার সঙ্গে ওই চরিত্র এবং বিশেষ সময়কালটিকে ফুটিয়ে তুলেছি আমি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে মিসেস গাঁধীর (ইন্দিরা) ভূমিকায় অভিনয় করেছি, ওঁর মর্যাদাক গরিমা রক্ষা করেছি। যখন গবেষণা শুরু করি, অনেক কিছু পড়তে হয়। ওঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কিছু ছিল, সে স্বামীর সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক হোক, বা তাঁর বন্ধু পরিসর, অথবা বিতর্কিত সমীকরণ।"
ইন্দিরার চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে কঙ্গনা বলেন, "প্রত্যেক মানুষের মধ্যে অনেক কিছু রয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে, চারপাশের পুরুষদের সঙ্গে তাঁদের সমীকরণকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আমি অত্যন্ত মর্যাদা সহকারে, যত্ন নিয়ে ওঁর চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছি। আমার মনে হয় প্রত্যেকের ছবিটি দেখা উচিত।"
কিন্তু বিজেপি সাংসদ কঙ্গনার ইন্দিরাকে নিয়ে মতামত? নায়িকা জানান, জরুরি অবস্থা নিয়ে বহু কথা শোনা যায়। তবে ইন্দিরাকে যে বহু মানুষ ভালবাসতেন, তাঁকে নিয়ে উদ্দীপনা ছিল মানুষের মধ্যে, তা বুঝেছেন তিনি। তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া মুখের কথা নয় বলেও মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা।
এমনিতে দ্বন্দ্ব থাকলেও, সংসদের বাইরে শাসক-বিরোধী সৌজন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু কঙ্গনার আমন্ত্রণে প্রিয়ঙ্কা সাড়া দেবেন না বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ এর আগে, প্রিয়ঙ্কা-রাহুল তো বটেই, তাঁদের মা সনিয়া গাঁধীকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা। সেই নিয়ে কংগ্রেসের তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল কংগ্রেসের। তবে মুখের উপর যে কঙ্গনাকে কোনও কড়া কথা বলেননি প্রিয়ঙ্কা, তা নায়িকার বক্তব্যেই পরিষ্কার।