TET Agitation: '১৪ তলায় শয়তানের কারখানা', চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে নাগরিক মঞ্চের প্রতিবাদে বিস্ফোরক মন্দাক্রান্তা
Nagarik Mancha Protest: মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ, প্রতিবাদে ধর্মতলায় পথে নামল নাগরিক মঞ্চ। মিছিলে পা মেলান সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
Nagarik Mancha Protest: মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ, প্রতিবাদে ধর্মতলায় পথে নামল নাগরিক মঞ্চ। মিছিলে পা মেলান সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে জড় হন প্রতিবাদীরা। তাদের গন্তব্য রয়েছে বাংলা অ্যাকাডেমি চত্বরে।
কারা ছিলেন মিছিলে ?
মূলত, 'নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ' ব্যানারে হচ্ছে এই মিছিল। যেখানে 'হবু শিক্ষকদের' ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদের কথা তুলে ধরেন নাগরিক সমাজের প্রতিবাদীরা। সেখানে তাঁরা অবিলম্বে নিয়োগের দাবি রাখেন সরকারের কাছে। নাগরিক সমাজের এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা আন্দোলনের নেত্রী ছাড়াও অধ্যাপক সেলের লোকজন। মিছিলে পা মেলান ছাত্র য়ুবরাও। সঙ্গে ছিলেন লেখক , বুদ্ধিজীবী ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন।
কী বলেন মন্দাক্রান্তা ?
এদিন মিছিলে যোগ দেন বিশিষ্ট কবি মন্দাক্রান্তা সেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '' সবকিছুতে দুর্নীতি হচ্ছে। আর তো পারা যাচ্ছে না। এবার সমাজের সব স্তরের মানুষ সংহত হয়ে একজোট হয়ে পথে নামবে, তবে না বিদ্রোহ। ১৪ তলার এই যে শয়তানের কারখানা তা লোপাট করে দিতে হবে। একজোট হয়ে সবাই পথে নামলেই এই কারখানা আমরা এক ঝটকায় লোপাট করে দিতে পারি।
ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নিচে আন্দোলনে বলসে ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীরা। ৬৬ দিনে পড়ে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ। পরবর্তীকালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও, ইন্টারভিউ বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে চাকরিপ্রার্থীরা।
মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের (TET Agitation) টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস-বিজেপিও (Congress/BJP)। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মীরা। পাঁজাকোলা করে বিজেপি কর্মীদের তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। অন্য দিকে, বিধানভবন থেকে মেয়ো রেড পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল করে কংগ্রেস। (Kolkata News)
চাকরিপ্রার্থীদের অনশন-আন্দোলন তুলে দেওয়ায় তরজা
৮৪ ঘণ্টার আন্দোলন, খালি পেটে, নির্জলা থেকে আন্দোলন, স্লোগানে-গানে প্রতিবাদ...আর এই আন্দোলনই বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তুলে দেয় পুলিশ। আর এর প্রতিবাদেই শুক্রবার প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল জায়গায় জায়গায়। সিপিএম-এর মতোই রাস্তায় নামল বিজেপি এবং কংগ্রেসও।
শুক্রবার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপি কর্মীরা। দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ, বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের সামনে থেকে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে শুরু হয় মিছিল। মেয়ো রোডে মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল বিজেপি-র। কিন্তু ধর্মতলা চত্বরে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল, ইন্দ্রনীল খাঁ-রা।