Kolkata Twin Murder: নামী বেসরকারি সংস্থার এমডি নিহত সুবীর চাকী ছিলেন খড়গপুর আইআইটি ও জোকা আইআইএম-এর প্রাক্তনী
কাঁকুলিয়া রোডে পৈত্রিক বাড়ি ছাড়াও কলকাতা ও নিউটাউনের বিভিন্ন বিলাসবহুল আবাসনে একাধিক ফ্ল্যাট ছিল কর্পোরেট কর্তার, ছেলে ব্রিটেনে কর্মরত, বিয়ের পর মেয়ে থাকেন বেঙ্গালুরুতে...
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও হিন্দোল দে, কলকাতা: গড়িয়াহাট থানার কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুন ঘিরে ঘনীভূত রহস্য।
সোমবার সকালে তিনতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মালিক ও তাঁর গাড়িচালকের ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ। মৃত সুবীর চাকী ও তাঁর চালক রবীন মণ্ডল। এরইমধ্যে, প্রকাশ্যে এসেছে নিহত কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর ব্যক্তিগত ও পরিবার সম্পর্কিত তথ্য।
জানা গিয়েছে, গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাঁকুলিয়া রোডে পৈত্রিক বাড়ি ছাড়াও কলকাতা ও নিউটাউনের বিভিন্ন বিলাসবহুল আবাসনে একাধিক ফ্ল্যাট ছিল কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর।
খড়গপুর আইআইটি ও জোকা আইআইএম থেকে পাস করা সুবীর ছিলেন নামী বেসরকারি সংস্থা কিলবার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। নিউটাউনের ফ্ল্যাটে থাকতেন স্ত্রী, মা ও শাশুড়িকে নিয়ে। ছেলে ব্রিটেনে কর্মরত, বিয়ের পর মেয়ে থাকেন বেঙ্গালুরুতে।
একবছর ধরে এই পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন কর্পোরেট কর্তা। মাঝেমধ্যেই চালককে নিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে আসতেন। গতকাল এসেছিলেন মার্সিডিজে চড়ে।
আরও পড়ুন: ঘাড়, কবজি, পায়ে গভীর ক্ষত! গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে চাঞ্চল্য
পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আরবানার ফ্ল্যাট থেকে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে আসেন বছর একষট্টির সুবীর ও তাঁর গাড়িচালক।
সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে আলোচনার জন্য ফোনে কাউকে ডাকা হয়। সন্ধে থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় প্রৌঢ় ও গাড়িচালকের। পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী ও গড়িয়াহাট থানায় বিষয়টি জানান।
এরপরই পুলিশ এসে দোতলা থেকে মালিক ও তিনতলা থেকে চালকের দেহ উদ্ধার করে। দেহদুটির ঘাড়, কবজি ও পায়ে গভীর ক্ষত ছিল। খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও। পুলিশ সূত্রে খবর, ২ জনকেই এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয়। ফলে পেশাদার খুনির কাজ নয় বলেই অনুমান পুলিশের।
এদিকে, খুনের ঘটনায় সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, চারবছর আগে বাড়ির একতলায় কনসালটেন্সি সংস্থাকে ভাড়া দেন বাড়ি মালিক সুবীর চাকী।
অফিস কর্মীদের দাবি, অফিস ও বাড়ির মধ্যে যোগাযোগের একটি দরজা রয়েছে, তা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। অন্যসময় এই দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা হত না বলেই অফিস কর্মীদের দাবি।
তবে কী খুনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবেই বাড়ির ভিতরে ঢোকার সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি কাঁকুলিয়া রোডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল বাড়ি থেকে ভেসে এসেছিল কথাবার্তার শব্দ। তবে আর কিছু টের পাননি তাঁরা।