ভোট পরবর্তীতে নথিভুক্ত হয়নি এমন ঘটনা জানতে চেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি সিবিআই-এর
এই ধরনের কতগুলো ঘটনা কোন কোন জেলায় ঘটেছে, তারও বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে সিবিআই
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, চাপের কারণে নথিভুক্ত হয়নি এমন ঘটনা সম্পর্কে চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে। এই ধরনের কতগুলো ঘটনা কোন কোন জেলায় ঘটেছে, তারও বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে সিবিআই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট পাঠালে সেই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হবে। খবর সিবিআই সূত্রে।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে আজ ডোমজুড়ের রাজীব পল্লিতে গেল সিবিআই। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়। ভোটের ফল ঘোষণার পর ডোমজুড়ের রাজীব পল্লিতে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট, আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। সেইসমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন তদন্তে যায় সিবিআই।
দিনহাটা থেকে সোনারপুর, খেজুরি থেকে কান্দি, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই টিম। গতকাল কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতেও যায় CBI-এর আরেকটি টিম। মৃতের মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়।
FIR-এ গরমিল! জোর করে, চাপ দিয়ে সাদা কাগজে সই করানোর অভিযোগ। এবার নারকেলডাঙা থানার অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের গ্রেফতারির দাবি তুলল, কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। সিবিআইয়ের ডাকে এসেছিলেন মৃতের দাদা। হাতে এফআইআর-এর কপি।
কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিত্ সরকার জানান, SI রত্না সরকারকে ইমিডিয়েট অ্যারেস্ট করতে হবে। ওসি, ছোটবাবু রাজকুমার।তাদের অ্যারেস্ট করা হোক। উনি তদন্তে আমার বাড়ি যাননি। পরেশ পালের পার্টি অফিসে বসে টাকা গুণছিলেন।
২ মে, ভোটের ফল ঘোষণার দিন, মৃত্যু হয় কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য অভিজিৎ সরকারের। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে, রবিবার কোচবিহারের দিনহাটায় যায় সিবিআই টিম। গত ৩ মে, ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন, দিনহাটার পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, বিজেপি কর্মী হারাধন রায়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এদিন মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই টিম। নমুনা সংগ্রহ করে।
এদিনই পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে পৌঁছে যায় CBI-এর আরেকটি টিম। ভোটের ফল ঘোষণার পর, বাড়িতে ঢুকে বিজেপির মহিলা কর্মীকে গণধর্ষণ করে মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্তে এদিন নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে দ্বিতীয়বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের প্রতাপনগরে গেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ২ মে, ভোটের ফল ঘোষণার দিনই, হারান অধিকারী নামে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে বের করে, বোমা মেরে, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে CBI। রবিবার, তিন সদস্যের দল, মৃতের আত্মীয়দের বয়ান রেকর্ড করে। এদিনই, মুর্শিদাবাদের কান্দিতে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে যায় CBI টিম।