Narayan Debnath's Daughter Reaction : হাসপাতালে বসেও খেয়েছেন ফিস কাটলেট, খেতে ও খাওয়াতে ভালবাসতেন নারায়ণ দেবনাথ
Cartoonist Narayan Debnath dies : ' বাবা খেতে বড় ভালবাসতেন। খেতে ও খাওয়াতে ভালবাসতেন। মাছ ছিল বড্ড প্রিয়। ভাল ভাল মাছ নিজে দেখেশুনে কেনা তাঁর পছন্দের কাজ ছিল।'
কলকাতা : প্রয়াত বাংলা কমিকসের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ ( Narayan Debnath)। বেলভিউতে ২৫ দিন লড়াইয়ের পর হার মানলেন ৯৭ বছরের নারায়ণ দেবনাথ। দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শিবপুরে তাঁর নিজের বাড়িতে। সেখান থেকে প্রয়াত শিল্পীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শিবপুর শ্মশানে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য। সেখানে হাজির বহু বহু অনুরাগী ও পরিবারের মানুষজন। কারওরই চোখের জন বাধ মানে না। সেখানে ছিলেন শিল্পীকন্যা নমিতা মজুমদারও।
তিনি জানালেন, কন্যা সন্তান বড় প্রিয় ছিল তাঁর। মেয়ে ছিলেন হৃদয়ের কাছাকাছি। বয়স বাড়তে লেখার কাজে কোথাও খটকা লাগলে মেয়েকেই ডাকতেন কিংবদন্তী কার্টুনিস্ট। কখনও-সখনও কোনও বানান সংশয় হলেই মেয়েকে একবার জিগ্যেস করে নিতেন। অনেকদিনই অসুস্থ। আজকের দিনে বড় বেশি করে মেয়ের মন ফিরে গেল অনেক পুরনো অতীতে। বললেন, পুজো সংখ্যার কাজ হত যখন, মাথা ডুবিয়ে কাজ করতেন তিনি। দূরে দাঁড়িয়ে দেখতেন সন্তানরা। সেই সময়কার কথা বারবার মনে যাচ্ছিল মেয়ের।
আরও পড়ুন :
আজ সব বাঁটুল ও নন্টে-প্রেমীদের অশৌচ, বললেন শোকবিহ্বল স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
বললেন, বাবা খেতে বড় ভালবাসতেন। খেতে ও খাওয়াতে ভালবাসতেন। মাছ ছিল বড্ড প্রিয়। ভাল ভাল মাছ নিজে দেখেশুনে কেনা তাঁর পছন্দের কাজ ছিল। খেতে ভালবাসতেন কাটলেট। হাসপাতালেও খেয়েছেন কাটলেট। তিনি ছিলেন আদ্যন্ত ভোজনরসিক।
তিন সন্তানের বাবা নারায়ণ দেবনাথ। মেয়ে নমিতা মজুমদার বড়। তারপর দুই ছেলে। আছেন পৌত্র, প্রপৌত্রও। সবার মনে আজ শোকের ছায়া। শোকবিহ্বল তাঁর হাওড়া শিবপুরের বৃহত্তর পরিবারও। তাই তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বহু মানুষ।
কথায় কথায়, বাঁটুল-ভক্ত সাহিত্যিক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী জানালেন, খেতে বড় ভালবাসতেন শিল্পী। পছন্দ করতেন ফিশ ফ্রাই। তিনি যখন তাঁর বাড়িতে দেখা করতে যান, তখন নিয়ে গিয়েছিলেন ফিশ ফ্রাই।