(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
PhD Degree Holder Sells Veggies:PhD সবজিওয়ালা! পেটের টানে বাড়ি বাড়ি সবজি বিক্রিই এখন সম্বল প্রাক্তন অধ্যাপকের
PhD Vegetable Seller Of Punjab:ডক্টরেট ও চারটি বিষয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কি এ জন্মে কোনও কাজেই লাগবে না? চমকে উঠছেন? কিন্তু পঞ্জাবের বাসিন্দা, সন্দীপের জীবনের সবথেকেএট বড় সত্যি এটাই।
কলকাতা: বর্ষবরণের রেশ অনেকেরই হয়তো এখনও কাটেনি। তবে সন্দীপ সিংহের জন্য এসবের আলাদা মানে নেই। পেটের দায়ে তাঁকে প্রত্যেক দিন, সবজির ঠেলা নিয়ে বেরোতেই হবে। আর একরাশ ক্লান্তি নিয়ে, বাড়ি ফেরার পর ভাবতে হবে, আলমারির কোণে পড়ে থাকা, ডক্টরেট ও চারটি বিষয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কি এ জন্মে কোনও কাজেই লাগবে না? চমকে উঠছেন? কিন্তু পঞ্জাবের বাসিন্দা (,PhD Vegetable Seller Of Punjab),, সন্দীপের জীবনের সবথেকেএট বড় সত্যি এটাই। পিএইচডি ও ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও বাড়ি গিয়ে সবজি বিক্রি করেন।
(সন্দীপ সিংহ)
PhD সবজিওয়ালা...
তাঁর কষ্টার্জিত ডিগ্রির সাথর্কতা আপাতত একটাই। ঠেলার উপর, কমদামি সাইনবোর্ডে লেখা থাকে, PhD সবজিওয়ালা! খরিদ্দাররা যদি তা দেখে কিছুটা বেশি কেনাকাটা করেন, এই আর কী। অথচ, ছবিটা এরকম ছিল না। একসময়ে, ডক্টর সন্দীপ সিংহ, পাতিয়ালায়, পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিক্তিক অধ্যাপক হিসেবে পড়াতেন। নেহাৎ কম সময় অধ্যাপনা করেননি। ১১ বছর পড়িয়েছেন। ছাত্র ও গবেষক হিসেবেও তাঁর মেধার ছাপ ছিল স্পষ্ট। আইন বিভাগ থেকে ডক্টরেট করেন। তা ছাড়া, পঞ্জাবি, সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে চারটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর। তা হলে এমন কী হল যে শিখন-শিক্ষণ ছেড়ে ঠেলা করে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁকে?
প্রাক্তন অধ্যাপকের কথায়, 'প্রথমে বেতন সময়মতো পেতাম না। তার পর সেই বেতনেও কাটছাঁট হতে শুরু করল। ওই চাকরি করে পেট চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।' পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়ে যায় যে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু পেট চলবে কী করে? অতঃপর, সবজি বিক্রি।
বাস্তব যা...
পড়ুয়াদের বই ও বইয়ের বাইরের পাঠ দিয়ে যা উপার্জন করতেন, তার থেকে বাড়ি বাড়ি সবজি বেচে কিছুটা হলেও বেশি উপার্জন করেন, জানালেন সন্দীপ সিংহ। তা বলে লেখাপড়ার সঙ্গে সম্পর্কে পূর্ণচ্ছেদ নয়। এত ক্লান্তির পরও, বাড়ি গিয়ে, চোখমুখ ধুয়ে, পড়তে বসেন। তাঁর কথায় স্পষ্ট, অধ্যাপনা থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন। কিন্তু লেখাপড়ার জগতে একদিন ফিরবেনই। সেই জন্য একটু একটু করে সঞ্চয় করছেন। ইচ্ছা আছে, সেই সঞ্চয় দিয়ে সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে টিউশন সেন্টার খুলবেন। আবার পড়াবেন, নিজেও পড়বেন...
জ্ঞানের সাগরে ডুব দেবেন....মাঝে কয়েকদিন সবজির ঠেলা নিয়ে ঘুরতে হলে ক্ষতি কী? কোনও প্রশ্ন নেই তাঁর, সত্যিই কি নেই?
আরও পড়ুন:কোথাও নাচ-গান, কোথাও পুজো-আরতি! ২০২৪ উদযাপনের ধুম গোটা দেশে