(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Manipur CM Convoy Attacked: মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর কনভয়ে জঙ্গি হামলা, জখম ১ নিরাপত্তারক্ষী
Terrorist Attack:জম্মু ও কাশ্মীরের পর এবার মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে জঙ্গি হামলা, জখম ১ জন নিরাপত্তা রক্ষী। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহর কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়েছে বলে খবর
মণিপুর: জম্মু ও কাশ্মীরের পর এবার মণিপুরে জঙ্গি হামলা, জখম ১ নিরাপত্তারক্ষী। নিরাপত্তারক্ষীদের একটি 'অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি কনভয়'-এ হামলা চলেছে বলে খবরয মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের হিংসাদীর্ণ জিরিবাম জেলা-সফরের আগে ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়কে এই হামলা চলে। নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ির ওপর গুলিবৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
যা জানা গেল...
হিংসাবিধ্বস্ত জিরিবাম জেলা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এখনও দিল্লি থেকে ইম্ফলে ফেরেননি তিনি। তাঁর সফরের আগে, একটি 'অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি কনভয়' সেখানে যাচ্ছিল। সেই কনভয়ের উপরই দেদার গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা, প্রাথমিক ভাবে এমনই জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনটি লেখার সময়ও সেই গুলির লড়াই চলছে। এই লড়াইয়েই এক জন নিরাপত্তারক্ষী জখম হন। তবে অসমর্থিত সূত্রের মতে, জখমের সংখ্যাটি ২-ও হতে পারে। পাল্টা জবাব দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের। কাংপোকপি জেলার ঘটনা।
ইম্ফল থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরের জিরিবাম জেলা মণিপুরের জন্য কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর একদিকে অসমের সীমানা, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এর উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। লাগোয়া পাহাড়ে বহু কুকি জনজাতিভুক্ত মানুষের বসবাস। সব মিলিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই জায়গা। সেখানেই অশান্তি। কিন্তু কেন?
হিংসার ছবি...
আপাতত পরিস্থিতি শান্ত হলেও মণিপুরের এই জিরিবাম জেলায় হালেই দুটি পুলিশ পিকেট, একটি ফরেস্ট বিট অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মেইতেই এবং কুকি জনজাতির বাসিন্দাদের একাধিক বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এবারের ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ জুন। সইবাম সরৎকুমার সিং নামে এক ৫৯ বছরের কৃষকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সে দিল। সইবার মেইতেই জনজাতিভুক্ত ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি। কয়েক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর গত ৬ জুন তাঁর দেহের হদিস মেলে। এর পরই নতুন করে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। ফলে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়ানো আর জরুরি হয়ে পড়ে, দরকার হয় আরও আগ্নেয়াস্ত্রের।
পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে চোখের নিমেষে। অশান্তির আগুন লাগে পড়শি অসমে। সেখানকার কাছার জেলার লখিপুরে অন্তত ৬০০ বাসিন্দা আগেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। মণিপুরের হিংসায় এঁদের প্রত্যেকের ঘরবাড়ি, সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার পরই অসমে আশ্রয়। সেখানেও নতুন হিংসার আঁচ এসে পড়ায় আতঙ্কের চোরাস্রোত বইছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন:বিজয় মিছিলের সময় দেগঙ্গায় তৃণমূল উপপ্রধানকে এলোপাথাড়ি কোপ, ধৃত আইএসএফ সমর্থক