Mohan Bhagwat on Manipur: 'মণিপুরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, হিংসা থামাতে হবে', মোদি-সরকারকে বার্তা RSS প্রধানের
CM N. Biren Singh's Visit: আজই মণিপুর পুলিশের একটি দল জিরিবাম গিয়েছিল। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পরিদর্শনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে।
নয়াদিল্লি : মোদি-মন্ত্রিসভায় মন্ত্রক বণ্টনের মুহূর্তেই মণিপুর নিয়ে বার্তা এল RSS প্রধানের। 'মণিপুরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, হিংসা থামাতে হবে' বলে নবগঠিত NDA- সরকারের উদ্দেশে বার্তা পাঠালেন মোহন ভাগবত। দীর্ঘদিন ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। এবার লোকসভা ভোটের অন্যতম ইস্যুও ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের অশান্তি। যা নিয়ে কার্য মোদি সরকারকে বিঁধতে ছাড়েনি কোনও বিরোধী দলই। এমনকী এই রাজ্য থেকেই 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' শুরু করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তার ফলও পেয়েছে কংগ্রেস। এবার ভোটে মণিপুরের দু'টি আসনেই জয়লাভ করেছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে বার্তা এল আরএসএস প্রধানের।
আজই মণিপুর পুলিশের একটি দল জিরিবাম গিয়েছিল। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পরিদর্শনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে। তবে এখনও দিল্লি থেকে ইম্ফলে ফেরেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সফরের আগে, একটি 'অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি কনভয়' সেখানে যাচ্ছিল। সেই কনভয়ের উপরই দেদার গুলি ছুড়তে শুরু করে একদল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ দুই পুলিশ কর্মী জখন হন। মঙ্গলবার হিংসা-বিধ্বস্ত ওই এলাকায় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
শনিবার দিল্লিতে মণিপুর ভবনে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রাজ্যপাল অনুসূয়া উকেইয়ের। তিনি জিরিবাম জেলায় বর্তমান কী পরিস্থিতি তা নিয়ে খোঁজখবন নেন। এর পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন।
আপাতত পরিস্থিতি শান্ত হলেও মণিপুরের এই জিরিবাম জেলায় হালেই দুটি পুলিশ পিকেট, একটি ফরেস্ট বিট অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মেইতেই এবং কুকি জনজাতির বাসিন্দাদের একাধিক বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এবারের ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ জুন। সইবাম সরৎকুমার সিং নামে এক ৫৯ বছরের কৃষকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সে দিন। সইবার মেইতেই জনজাতিভুক্ত ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি। কয়েক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর গত ৬ জুন তাঁর দেহের হদিশ মেলে। এর পরই নতুন করে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। ফলে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়ানো আরও জরুরি হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে চোখের নিমেষে। অশান্তির আগুন লাগে পড়শি অসমে। সেখানকার কাছার জেলার লখিপুরে অন্তত ৬০০ বাসিন্দা আগেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। মণিপুরের হিংসায় এঁদের প্রত্যেকের ঘরবাড়ি, সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার পরই অসমে আশ্রয়। সেখানেও নতুন হিংসার আঁচ এসে পড়ায় আতঙ্কের চোরাস্রোত বইছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।