পূর্বাঞ্চলে পণ্য আদানপ্রদানের পথ সহজ করতে বাংলার ডানকুনি পর্যন্ত ফ্রেট করিডরের উদ্বোধন মোদির
গতকালই মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত কৃষিপণ্য বোঝা ট্রেনের যাত্রা শুরু করিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বাংলার চাষিদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি সম্পর্কে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন।
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিউ ভাউপুর থেকে নিউ কুর্জা সেকশন পর্যন্ত এই করিডরের উদ্বোধন করেন তিনি। মোদি বলেন, এই করিডর তৈরির মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় শিল্পের উন্নতি করা। ভিডিও কনফারেন্সে এই উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি প্রয়াগরাজে ফ্রেট করিডরের অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন মোদি। যেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
গতকালই মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত কৃষিপণ্য বোঝা ট্রেনের যাত্রা শুরু করিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বাংলার চাষিদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি সম্পর্কে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রেট করিডরের মাধ্যমে পণ্য আদানপ্রদানের সহজ হবে। পাশাপাশি পণ্যের দামের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। প্রযুক্তি হাত ধরে পণ্য আদানপ্রদান হলে শিল্প শহরগুলি উপকৃত হবে। এর পাশাপাশি কিষাণ রেল ব্যবস্থার উন্নতি হবে। বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। মোদির কথায়, ২০১৪ সালের পর রেল ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। খাবারের গুণগত মান, রেলের গতি, পরিচ্ছন্নতা বেড়েছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিক এই উন্নয়নের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন মোদি। করোনা পর্বে রেলকর্মীদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোদি। কী হবে এই ফ্রেট করিডরের মাধ্যমে?
নিউ ভাউপুর থেকে নিউ কুর্জা সেকশন পর্যন্ত এই করিডরের অবস্থান উত্তরপ্রদেশে। করিডর তৈরিতে খরচ হয়েছে ৫,৭৫০ কোটি টাকা। ৩৫১ কিলোমিটার জুড়ে প্রশস্ত ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। মূলত স্থানীয় শিল্পকে উৎসাহিত করাই মূল লক্ষ্য। যার মধ্যে রয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম, ডেয়ারি, বস্ত্রশিল্প, হিং চাষ। পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে শুরু হচ্ছে করিডর। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনিতে শেষ হবে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন লিমিটেড অব ইন্ডিয়া ১৫০৪ কিলোমিটারের এই করিডর বানিয়েছে।